গাজীপুর

গাজীপুরে আগুনে পুড়ে রান্নাঘরেই ট্রাফিক সার্জেন্টের স্ত্রীর মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা : গাজীপুরে রান্নাঘরে গ্যাসের আগুনে ট্রাফিক সার্জেন্টের স্ত্রী এবং সিলিন্ডারের রেগুলেটরের আঘাতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) মহানগরের নলজানির পালেরমাঠ এবং ইটাহাটা এলাকায় পৃথক এ দুর্ঘটনা দু’টি ঘটেছে।

নিহতরা হলো, ফারজানা হক কঁচি (৩০) এবং আড়াই বছর বয়সী শিশু আয়েশা আক্তার।

নিহত ফারজানা হক কঁচির স্বামী শাহনেওয়াজ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি’র) ট্রাফিক বিভাগে সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত। তাদের নুজাইন নেওয়াজ নামে ৪ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। সে মহানগরের জোড়পুকুড়পার এলাকার স্টার ফ্রোলিক স্কুলের প্লে শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

নিহত শিশু আয়েশা আক্তার শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার কান্দুলী গ্রামের রাশেদুল ইসলামের মেয়ে। বাবা-মা’র সঙ্গে সে ইটাহাটা এলাকার আবুলের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সানোয়ার জাহান বলেন, সাজেন্ট দম্পতি পালের মাঠের প্লাটিনাম টাওয়ারের নয় তলা ভবনের ৭ম তলার ফ্লাটে বসবাস করেন। সকালে সাজেন্ট শাহনেওয়াজ তার ছেলেকে নিয়ে স্কুলে নিয়ে যান। বেলা পৌণ ১১টার দিকে তাদের ফ্লাট থেকে বিকট শব্দ হয়। এসময় পাশের ফ্লাটের লোকজন সেখানে গিয়ে আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পেয়ে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন রান্নাঘরের ফ্লোরে ফারজানা হক কচির পোড়া মরদেহ পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া আগুনে পুরো ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, ওই ভবনে সেন্টাল সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে বদ্ধ পুরো রান্নাঘরে ছড়িয়ে পড়ে। চুলা জ্বালানোর সময় জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিনি মারা যায়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে, বেলা ১১টার দিকে ইটাহাটা এলাকায় নির্মানাধীন একটি কারখানার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল আয়েশা আক্তার। সে সময় গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে ওই কারখানায় ঝালাই দেয়ার কাজ চলছিল। হঠাৎ সিলিন্ডারের রেগুলেটর ছিটকে গিয়ে আয়েশার মাথা ও মুখে লাগে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্বজনরা তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button