গাজীপুর

মালেকের বাড়ি বাজারে ‘তিনগুণ বেশি টোল’ নিচ্ছে ইজারাদার!

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : সরকার-নির্ধারিত টোলের তালিকা থেকে তিনগুণ বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে মহানগরীর মালেকের বাড়ি বাজারের ইজারাদার আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে। বাড়তি টাকা না দিলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইজারাদারের অতিরিক্ত টোল আদয়ের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে গত ১৮ এপ্রিল গাজীপুরের মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।

ব্যবসায়ীরা জানান, আবদুর রশিদ চলতি বাংলা সনে গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে মালেকের বাড়ি বাজারের ইজারার দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি কাঁচা ও মাছ বাজার থেকে ভিটি প্রতি ১৫০ টাকা করে টোল আদায় শুরু করছেন। কোন ব্যবসায়ী কোন কারণে বা অসুস্থতার জন্য একদিন বাজারে দোকান না করলেও ওইদিনের টোল দিতে হচ্ছে। কেউ দিতে না চাইলে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইজারার শর্ত অনুযায়ী সিটি করপোরেশন থেকে টোল নির্ধারণ করে দিয়ে তালিকা বাজারে টানিয়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু ইজারাদার কোনও তালিকা টানায়নি। গত বছর টোল ৩০-৫০ টাকার মধ্যে থাকলেও নতুন ইজারাদার আদায় করছেন ১৫০ টাকা। এমনকি ব্যবসায়ীদের টাকায় বসানো টিউবওয়েল থেকে পানি নিতে হলেও দিতে হচ্ছে টাকা তাকে।

কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা চাঁদা তুলে কয়েক বছর আগে ৭০ হাজার টাকায় বাজারে পানির টিউবওয়েল বসিয়েছিলেন। ব্যবসায়ীরা ওই টিউবওয়েলের পানি ইচ্ছামত ব্যবহার করতেন। কিন্তু নতুন ইজারদার পানির জন্য প্রতি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতিদিন ২০ টাকা করে নিচ্ছেন। এ হিসেবে শুধু পানির জন্য তিনি মাসে আদায় করছেন প্রায় ৭০ হাজার টাকা।

মালেকের বাড়ি বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী মো. আবুল কাশেম অতিরিক্ত টোল আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা টোল কমানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে মেয়রের কাছে আবেদন করেছি। তিনি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা মেয়রের আশ্বাস বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছি।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান মৃধা কালের কণ্ঠকে বলেন, সরকারি হারে সর্বনিম্ন ২০ এবং সর্বোচ্চ ৫০ টাকা টোল নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ওই হারের অতিরিক্ত কখনো নেওয়া যাবে না। ইজারা চুক্তির ৬ নম্বর শর্ত অনুযায়ী ইজারাদারের পানির জন্য টাকা নেওয়ার এখতিয়ার নেই। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইজারাদার আব্দুর রশিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

 

 

সূত্র: কালের কণ্ঠ

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button