গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে স্কুলভর্তিতে পুনঃভর্তি ফি নেওয়া যাবে না। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এগুলো করছে, তাদের তালিকা হচ্ছে। শিক্ষা বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে এসব প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হবে। কোনো স্কুল ভর্তিতে অতিরিক্ত ফি নিলে এমপিও বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারও কাছে জানা থাকলে আমাদের কাছে তালিকা দিন।’
সোমবার (২ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অনুষ্ঠানিকভাবে মুসলিম হাইস্কুলের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্কুলের নতুন বইয়ে ভুল এবং ছাপার মান নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এ বছর বই ছাপতে পেরেছি। মণ্ডের দাম বেড়ে গেছে, বিদ্যুতের সংকট ছিল, প্রিন্টিংয়ের ক্ষেত্রে বিশাল প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছিলাম লোডশেডিংয়ের কারণে। দেশের প্রয়োজনে পরিকল্পিতভাবে লোডশেডিং করতে হয়েছে। সেখানে প্রিন্টিংয়ে কিছুটা ঘাটতি ছিল। এটা অনস্বীকার্য যে এখানে কিছু কিছু জায়গায় আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা আশ্বস্ত করতে চাচ্ছি, বই যথাসময়ে সরবরাহ হবে। কন্টেন্টে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, পরবর্তী যে প্রিন্টিং হবে সেই ভুলগুলো আমরা সংশোধন করতে পারব। আপনারা জানেন আমরা নতুন কারিকুলাম এনেছি। এগুলো প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে যাবে। নতুন কারিকুলামের বইতে কোনো ভুল নেই। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী একটি শিক্ষাক্রম জাতিকে উপহার দিতে পারব। কারিকুলামের সঙ্গে সঙ্গে উন্নত টেক্সবই আমরা আগামীতে দিতে পারব বলে আশা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল কয়েকটি স্কুলে দেখেছি, শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া হয়নি। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ফি বকেয়া ছিল। অথচ তার মৌলিক অধিকারের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইয়ের ব্যবস্থা করেছেন। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক আকারে পরিচালিত হচ্ছে। তারা যদি সরকারের সুযোগ-সুবিধা পায়, তাহলে আমরা সেই সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেব। যদি তারা স্কুল বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করে।’