মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে দুই ধরনের পূর্বাভাস
গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সব বিখ্যাত গল্পেই দুটো ভাগ থাকে। মালয়েশিয়ার নতুন বছরের অর্থনীতি নিয়ে যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, সেখানেও দুটি ভাগের কথা বলছেন অর্থনীতিবিদরা। যার প্রথম ভাগের জন্য প্রাক্কলন হলো, এ সময়ে পরিস্থিতি থাকবে গুমোট। আর দ্বিতীয় ভাগে মন্দা থাকলেও পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাবে। ২০২২ সালে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি যে প্রবৃদ্ধি দেখেছে, তা ২০২৩ সালেও অব্যাহত থাকবে; এমন প্রত্যাশা করছেন না অর্থনীতিবিদরা। কারণ এরই মধ্যে ভোক্তাদের হতাশা প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। খবর স্ট্রেইটস টাইমস।
গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে মালয়েশিয়া দুই অংকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখতে শুরু করে। সে সময় প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ২ শতাংশে। অর্থনীতির প্রায় সব খাতেই, বিশেষ করে পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের ভালো পরিস্থিতি এ প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়েছিল।
যদিও অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ অভ্যন্তরীণ ভোগের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। যার পেছনে মূল প্রভাবক হিসেবে থাকবে মূল্যস্ফীতির চাপ, এপ্রিলে চালু হওয়া কর্মীদের অবসরকালীন তহবিল প্রত্যাহারের বিশেষ স্কিম এবং গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া। সামনের দিনে সরকার ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরো সংকোচন নীতি গ্রহণ করলে অভ্যন্তরীণ ভোগের ওপরও তার প্রভাব বাড়তে পারে।
মালয়েশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউওবি কে হিয়ানের গবেষণা প্রধান ভিনসেন্ট খো বলেন, অর্থনীতির ওপর সুদের হার বৃদ্ধির ক্রমবর্ধমান প্রভাব মূল্যায়ন করে দেখছেন বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা। একই সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বে অর্থনৈতিক ও করপোরেট আয় মন্দার মুখোমুখি হয় কিনা সেটিও দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
২০২৩ সালের জন্য ইউওবি কে হিয়ান পূর্বাভাসে বলছে, অভ্যন্তরীণ ভোগে ধীরগতি দেখা দেবে। সে কারণে জিডিপির প্রবৃদ্ধিও অর্ধেক কমিয়ে ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।