গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : লালমনিরহাটে সীমান্তে তিন দিনের ব্যবধানে আবারও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি যুবক বিপ্লব মিয়া ওরফে বিপুল (২২) নিহত হয়েছেন।
রোববার (০১ জানুয়ারি) ভোরে রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
শনিবার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
বিপুল পাটগ্রাম সদর ইউনিয়নের গাটিয়ারভিটা গ্রামে রশিদুল ইসলামের ছেলে।
এর আগে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোলাপাড়া সীমান্তে গত ২৯ ডিসেম্বর বিএসএফের গুলিতে সাদিক (২২) ও মংলু (৩৬) নিহত হন। এ ঘটনার তিন দিনের ব্যবধানে বিএসএফের গুলিতে আবারও বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হলেন।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবককে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার দুপুরে লালমনিরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারী ৭ থেকে ৮ জনের একটি দল বুড়িমারী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের সীমান্তের প্রধান পিলারের ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যায়। এ সময় ভারতের ৯৮-বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা ২ থেকে ৩ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে বিপ্লব গুলিবিদ্ধ হন। আহতাবস্থায় বিপ্লবের সঙ্গীরা তাঁকে উদ্ধার করে রংপুরে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে রোববার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
পাটগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোকলেছার রহমান মোকছেদ বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি শনিবার রাত সাড়ে ১২টার সময় কয়েকজন গরু পারাপারকারীর সঙ্গে রশিদুলের বিপুলও যায়। সীমান্তে ভারতের বিএসএফ গুলি করলে বিপুলের ডান পাঁজরে গুলি বিদ্ধ হয়। আমি লাশ দেখেছি। পুলিশ লাশ নিয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর হাসান শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, ‘চ্যাংরাবান্ধা বিএসএফ জানিয়েছে, গোলাগুলির ঘটনা হয়নি। আমরা বিষয়টি হালকাভাবে নেব না। কঠোর প্রতিবাদ লিপি দেওয়া হবে। বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে এ জন্য সীমান্তে বিজিবির টহল দ্বিগুণ করা হয়েছে। বিএসএফের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করা হয়।’