গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গাজীপুরের বিআরটি প্রকল্পসহ দেশের চলমান তিন প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য চুক্তি সই করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এর আওতায় প্রায় ৬৩ কোটি ডলার ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে সই করেন ইআরডি সচিব শরিফা খান ও এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকল্পগুলোর পক্ষে সই করেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকল) সিইও আলমগীর মোরশেদ, সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস। এডিবির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এডিবির অর্থায়নের প্রকল্পগুলো হলো- গাজীপুরের বিআরটি প্রকল্প, থার্ড পাবলিক-প্রাইভেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রকল্প এবং উপকূলীয় শহরের জলবায়ু নিরোধ শীর্ষক প্রকল্প। এসব প্রকল্পের ঋণের মধ্যে কনসেশনাল ঋণের সুদের হার ২ শতাংশ। রেগুলার ঋণের সুদের হার সিকিউরড অভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেটসহ যোগ হবে দশমিক ৫০ শতাংশ। রেগুলার ঋণের জন্য দশমিক ১০ শতাংশ হারে ম্যাচুরিটি প্রিমিয়াম ও অব্যয়িত অর্থের ওপর দশমিক ১৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ প্রযোজ্য হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নাধীন ঢাকা-গাজীপুর বিআরটি প্রকল্পে এডিবি অতিরিক্ত ১০ কোটি ডলার দেবে। এ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ৫ বছরসহ ২৫ বছরের শোধ করতে হবে।
এছাড়া থার্ড পাবলিক-প্রাইভেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটি শীর্ষক প্রকল্পগুলো ইডকলের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এর মাধ্যমে পাবলকি প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) পদ্ধতিতে বেসরকারি খাতে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন করা হবে। ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে এসব প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পে এডিবির ঋণের দুটি অংশ রয়েছে- অর্ডিনারি অপারেশন্স (রেগুলার) ২৬ কোটি ২২ লাখ ডলার এবং অর্ডিনারি অপারেশন্স (কনসেশনাল) ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এ দুটি ঋণ ২৫ বছরে শোধ করা যাবে, গ্রেস পিরিয়ড (রেয়াতকাল ৫ বছর)। এ ঋণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ব্যবহৃত হবে।
এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচিত উপকূলীয় শহরগুলোর জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীলতা শক্তিশালীকরণ এবং একইসঙ্গে মহিলাদের জীবনমান উন্নয়নের প্রকল্পে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে সংস্থাটি। এর মধ্যে ১৫ কোটি ডলার শহজ শর্তের অর্ডিনারি অপারেশন্স কনসেশনাল ঋণ। আর ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার অর্ডিনারি অপারেশন্স রেগুলার ঋণ। বাকি ৪০ লাখ ডলার অনুদান হিসেবে দেওয়া হচ্ছে।