গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচন নিয়ে বাইরের চাপের কাছে সরকার মাথা নত করবে না। নির্বাচন নিয়ে অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র এবং বিদেশিদের হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া হবে না।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রোববার (১১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সেমিনারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বক্তব্যে এই কথাগুলো উঠে আসে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট: মানবাধিকার প্রচার ও সুরক্ষা’ শীর্ষক ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি সরকারের অগ্রাধিকারের কেন্দ্রে রয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার অনেক উদ্যোগও নিয়েছে। সরকার মানবাধিকারকে মূল্য দেয় বলেই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, জনগণের অধিকার রক্ষায় সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। সরকার ভোটের অধিকার রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাসী। আমরা ভোটের অধিকার রক্ষায়ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো কোনো বেসরকারি সংস্থা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। তাদের অনেক তথ্য সঠিক নয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার পরিস্থিতিরও সমালোচনা করেন।
ঢাকার ১৫টি কূটনৈতিক মিশনের সাম্প্রতিক এক যৌথ বিবৃতির প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও নীতির মূলে রয়েছে গণতান্ত্রিক নীতি ও মূল্যবোধ। আমি ঢাকার বিদেশি মিশনগুলোকে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাই, কারও দিকে আঙুল তোলার আগে নিজেদের আয়নায় দেখে নিন।’ বাংলাদেশ সরকার বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে আন্তরিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোনো বাইরের চাপের কাছে মাথা নত করবে না। বাংলাদেশ সরকারের ক্ষমতার উৎস এ দেশের জনগণ। জনগণই নির্ধারণ করবে কে এ জাতিকে শাসন করবে।