ব্যাংকের বাইরে থাকা বিপুল অর্থ ‘অর্থনীতির’ মূল কাঠামোকে হুমকিতে ফেলছে!
গাজীপুর কণ্ঠ, ধর্ম ডেস্ক : সম্প্রতি অবসরে যাওয়া প্রভাবশালী একজন সরকারি কর্মকর্তা দেশের অভিজাত একটি আবাসন কোম্পানি থেকে চারটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। গুলশানের এ অ্যাপার্টমেন্টগুলো কিনতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা গুনতে হয়েছে তাকে। বড় অংকের এ অর্থের পুরোটাই আবাসন কোম্পানিটিকে নগদে পরিশোধ করেছেন তিনি। গাড়ি ভর্তি করে ঢাকার একাধিক বাড়ি থেকে ওই টাকা নিয়ে আসা হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
রাজধানীর একটি আবাসন প্রকল্পে সম্প্রতি একজন ব্যবসায়ী অর্ধশত কোটি টাকায় একটি প্লট কিনেছেন। প্লট কেনার পুরো অর্থই নগদে পরিশোধ করেছেন তিনি। নগদ অর্থে প্লট কেনায় ওই ব্যবসায়ী মৌজা দরে নিবন্ধন করার পাশাপাশি অর্থের উৎসও গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
শুধু প্লট বা ফ্ল্যাট নয়, কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কেনায়ও এখন নগদ অর্থের ব্যবহার বেড়েছে। সঞ্চয়ের পাশাপাশি বিনিয়োগ হিসেবেও খুচরা বাজার থেকে অনেকে ডলার কিনছেন। এক্ষেত্রেও ব্যাংকের বাইরে থাকা কালো টাকা ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।
স্বর্ণ চোরাচালানেও এখন নগদ অর্থের ব্যবহার বেড়েছে। আবার এ স্বর্ণ চোরাচালানের অনুষঙ্গ হিসেবে সীমান্তকেন্দ্রিক হুন্ডি বাণিজ্যও এখন বড় হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। শুধু স্বর্ণ চোরাচালান নয়, আরো অনেক ক্ষেত্রেই এখন অবৈধ হুন্ডির ব্যবহার বেড়েছে। এর পেছনেও এখন ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের প্রবাহ বেড়ে যাওয়াকেই দায়ী করছেন পর্যবেক্ষকরা। মূলত ব্যাংকের বাইরের বড় আকারের লেনদেনে নজরদারির সুযোগ কম বলেই এসবের সঙ্গে জড়িতরা ব্যাংক খাতকে এড়িয়ে নগদে লেনদেনকে বেছে নিচ্ছেন বলে মনে করছেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু গত পাঁচ বছরেই দেশের ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ অন্তত ৭০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৮ সালের জুন শেষেও ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এ অর্থের পরিমাণ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। এ হিসাবে পাঁচ বছরের ব্যবধানে ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৯৯ হাজার ৮১ কোটি টাকা।
ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার এ ধারাকে সামষ্টিক অর্থনীতির কাঠামোর জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও আর্থিক খাতসংশ্লিষ্টরা। তাদের ভাষ্যমতে, অর্থনীতিতে ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অংকের প্রবাহ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি। এর পরিমাণ গত কয়েক বছরে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এ বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের বড় একটি অংশ এখন কালো টাকায় পরিণত হয়েছে। এ কালো টাকা দেশের বাইরে পাচার হওয়ার পাশাপাশি ব্যবহার হচ্ছে অপ্রাতিষ্ঠানিক ও অনিয়ন্ত্রিত লেনদেনে। এতে সামষ্টিক অর্থনীতির গোটা কাঠামোকেই বিপন্ন করে তোলার বড় আশঙ্কা রয়েছে। গত কয়েক বছরে দেশে প্লট, ফ্ল্যাটসহ স্থাবর সম্পত্তির দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির পেছনে এ কালো টাকার বড় ভূমিকা রয়েছে। একই সঙ্গে তা ভূমিকা রেখেছে মূল্যস্ফীতিতেও।
ব্যাংকের বাইরে থাকা অর্থের বড় অংশই কালো টাকা বলে মনে করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান। তিনি বলেন, অপরাধীরা অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ ব্যাংকে রাখতে সাহস পাচ্ছে না। ফলে এ অর্থের একটি অংশ দেশ থেকে পাচার হচ্ছে, অন্য অংশ বাড়িতে সিন্দুক বা বালিশ-তোষকে ঢুকছে। সিন্দুকে ঢুকে যাওয়া অর্থ দেশের অর্থনীতিতে কোনো ভূমিকা রাখে না। লেনদেন ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাল না হওয়া পর্যন্ত নগদ অর্থের চাহিদা কমবে না।
গত এক দশকে দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ও শাখা বেড়েছে। বেড়েছে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, এটিএম বুথ, পিওএস মেশিনের মতো ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যম। মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো প্রযুক্তিনির্ভর সেবাও যুক্ত হয়েছে অর্থনীতিতে। অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার বাজারও অনেক বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে। আবার প্রযুক্তির উত্কর্ষে ব্যাংক খাতে যুক্ত হয়েছে অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবা। সে হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে নগদ টাকার প্রবাহ কমে আসার কথা। কিন্তু এ সময়ে দেশে নগদ অর্থের পরিমাণ ও হার ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে।
এক দশক আগেও বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের ইস্যু করা নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬০ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ইস্যু করা টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তার পরও ব্যাংক খাতে নগদ অর্থ আছে মাত্র ২১ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। বাকি টাকা ব্যাংকের বাইরে চলে গেছে।
অবৈধ হুন্ডির বাজার বড় হওয়ার পেছনে এখন ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধিকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, নগদ অর্থের প্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় অর্থনীতিতে কালো টাকার দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। অনিয়ম-দুর্নীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নগদে ঘুষের লেনদেনও। এ কারণে দেশের নগদভিত্তিক অর্থনীতির আকার কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থনীতি বড় হলে অর্থের পরিমাণ ও চাহিদা বাড়বে এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে যে হারে নগদ অর্থের চাহিদা বাড়ছে সেটি অস্বাভাবিক। ব্যাংকের বাইরে নগদ অর্থ চলে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন টাকা ছাপাতে বাধ্য হচ্ছে।
নগদভিত্তিক অর্থনীতির আকার বড় হওয়ায় অবৈধ হুন্ডির বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, গত এক দশকে দেশে ব্যাংক খাতের বিপুল সম্প্রসারণ হয়েছে। ব্যাংকিং সেবা অনেক বেশি আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় ব্যাংক সেবা পৌঁছে গেছে। তার পরও দেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির আকার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, অর্থনীতির নগদনির্ভরতা কমিয়ে আনা সম্ভব হলে হুন্ডিসহ অবৈধ অর্থ লেনদেন অনেক কঠিন হতো। অর্থের উৎস ও গন্তব্য সম্পর্কে জানা যেত। কিন্তু নগদ প্রবাহ কমানো সম্ভব না হওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে নগদনির্ভরতা কমাতে হবে। এজন্য সব পক্ষকে একযোগে কাজ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
অনেক আগেই লেনদেন ব্যবস্থা প্লাস্টিক মানি বা কার্ডে রূপান্তর করেছে উন্নত বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের দেশগুলো এখন ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রায় ঝুঁকছে। নিজস্ব ই-কারেন্সি ব্যবস্থা চালু করেছে চীন। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন নগদে বড় অংকের অর্থ লেনদেন দুরূহ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের লেনদেন ব্যবস্থা ডিজিটাল করে তোলার কথাও শোনা যাচ্ছে কয়েক বছর ধরে। কিন্তু দেশের মানুষ নগদ টাকা ঘরে রাখার প্রবণতা থেকে বেরোতে পারেনি। বরং সাম্প্রতিক সময়ে দেশের মানুষের নিজের কাছে নগদ অর্থ রাখার প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ করে ব্যাংক থেকে নগদে টাকা তোলার প্রবণতা বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।
ব্যাংক খাতের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ এ প্রবণতা বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে এ খাতে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এজন্য তারা অনেকটাই ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়েছেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রাখার প্রবণতা বাড়ায় প্রতারণা, চুরি-ডাকাতির মতো নগদ অর্থসংশ্লিষ্ট অপরাধও বাড়ছে।
করনীতিসহ সরকারের বিভিন্ন নীতিগত বৈষম্যের কারণে দেশে নগদ লেনদেন উৎসাহিত হচ্ছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) এ নির্বাহী পরিচালক বলেন, যেকোনো ডিজিটাল লেনদেনে ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকায় কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। গুটিকয়েক শপিং মল আর হোটেল-রেস্টুরেন্ট বাদ দিলে দেশের কোথাও ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবস্থা নেই। দোকানদাররাও চান লেনদেন নগদে হোক। এ অবস্থায় শিগগিরই নগদ অর্থের চাহিদা কমবে না।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো অর্থ স্থানান্তর করলেই তার জন্য শুল্ক দিতে হয়। ঋণের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রতিটি লেনদেনে শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। এভাবে একটি দেশের লেনদেন ব্যবস্থা ডিজিটাল করা সম্ভব নয়। সরকারের পক্ষ থেকেও নগদমুক্ত সমাজ নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেই।
অর্থনীতির স্বাভাবিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী কালো টাকার প্রভাব বাড়লে ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণও বেড়ে যায়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর দেশে নগদভিত্তিক অর্থনীতির আকার (ক্যাশ বেজড ইকোনমি) দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪২১ কোটি টাকার। যদিও ২০১০ সালে বাংলাদেশে নগদভিত্তিক অর্থনীতির আকার ৮০ হাজার কোটি টাকায় সীমাবদ্ধ ছিল।
ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের অন্তত ২৫ শতাংশের কোনো হদিস নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত ইস্যুকৃত মুদ্রার পরিসংখ্যান তৈরি করে। বাংলাদেশের মতো অর্থনীতির একটি দেশে কী পরিমাণ নগদ অর্থের প্রয়োজন সেটিও পর্যালোচনা করা হয়। কিন্তু কোনো পরিসংখ্যানেই ইস্যুকৃত অর্থের অন্তত ২৫ শতাংশের অবস্থান নির্ণয় করা যাচ্ছে না। এটি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও উদ্বেগ রয়েছে।
অর্থনীতির চাহিদার নিরিখে মুদ্রা ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার। বাংলাদেশে সরকারি মুদ্রা হলো ১, ২ ও ৫ টাকার নোট এবং কয়েন। সরকারের ইস্যুকৃত এ ধরনের মুদ্রা রয়েছে ১ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকার। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ও গভর্নরের স্বাক্ষরযুক্ত নোট ব্যাংক নোট হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংক নোট হলো ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার কাগুজে মুদ্রা। বাংলাদেশের মতো একটি অর্থনীতির দেশে ৫৬-৭০ হাজার কোটি টাকার নগদ অর্থ যথেষ্ট বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ১০-১২ শতাংশ নগদ হিসেবে বাজারে থাকাই যথোপযুক্ত। কিন্তু গত এক দশকে বাজারে নগদ অর্থের পরিমাণ ও হার বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়েনি। বর্তমানে ব্যাংক খাতের মোট আমানতের প্রায় ১৭ শতাংশ বাজারে নগদ অর্থ হিসেবে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১০ সালে দেশের ব্যাংক খাতে নগদ অর্থ ছিল ৪৬ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। এর পর থেকে প্রতি বছরই ব্যাংকের বাইরে থাকা নগদ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৬ সালে এসে এ অর্থের পরিমাণ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে ওই বছরও ব্যাংক খাতের মোট আমানতের সাড়ে ১৩ শতাংশ নগদে সীমাবদ্ধ ছিল। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের ইস্যুকৃত নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা। নগদ এ অর্থের মধ্যে ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকাই ব্যাংকের বাইরে চলে গেছে।
সূত্র: বণিক বার্তা