গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : প্রাণ আরএফএল গ্রুপের টালমাটাল অবস্থা। চলছে অস্থিরতা। শত শত কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে আরএফএল গ্রুপের সদর দফতরে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এর আগে এই গ্রুপের উর্ধ্বতন কয়েক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত এবং দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর প্রাণ আরএফএল-এ শুরু হয় আতঙ্ক। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
কয়েকদিন আগে এই কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের মোবাইল ফোন জব্দ করাসহ বুঝে নেওয়া হয়েছে অফিসের কাগজপত্র।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের অন্যতম হচ্ছেন- সুজন মাহমুদ। তিনি প্রাণ আরএফএল গ্রুপের মালিকানাধীন নিউজপোর্টাল জাগো নিউজের সম্পাদক ছিলেন।
প্রাণ আরএফএল-এর চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী এনবিআর এর অভিযানের বিষয়টি অস্বীকার করেননি।
গত চার বছরে গ্রুপটির রংপুর মেটালের দু’টি ইউনিটের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া অর্থের পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা। সিলেট কাস্টমস এক্সপার্ট ও ভ্যাট কমিশনারের কার্যালয়ের বিশেষ নিরীক্ষায় উঠে এসেছে এই ট্যাক্স ফাঁকির কথা।
এনবিআর থেকে জানা যায়, প্রাণ আরএফএল গ্রুপকে টেক্স পরিশোধের বিষয়ে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও তারা অর্থ পরিশোধ করেনি। এমনকি কোনো ইতিবাচক সাড়াও দেয়নি। আর তাই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করে এনবিআর।
১৯৮১ সালে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের (আরএফএল) মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ তৈরির উদ্দেশ্যে রংপুরে কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৫০০টিরও বেশি খাদ্যপণ্য এবং ১ হাজার ৫০০টির বেশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্লাস্টিক পণ্য রয়েছে।
তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণনের নানা পর্যায়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন সময় প্রাণ আরএফএলের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতি, গণমাধ্যমের বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান, গুণগত মান বজায় না রেখে পণ্য উৎপাদন করে লাইসেন্স বাতিল, উৎপাদিত পণ্যে মানবদেহে ক্ষতিকর ফরমালিন মেশানোর অভিযোগ রয়েছে।
আরো জানতে………
কালীগঞ্জে রেলওয়ের সাড়ে ৩ একর জমি প্রাণ আরএফএল’র দখলে!