খোলাবাজারের সরকারি আটা কালোবাজারে বিক্রি: গ্রেপ্তার ৩
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : খোলাবাজারে বিক্রয়ের (ওএমএস) সরকারি আটা কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জিএমপি পূবাইল থানা পুলিশ। এসময় তাদের হেফাজত থেকে ৫০ কেজি ওজনের ৬ বস্তা (৩০০ কেজি) আটা উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) তাদের বিরুদ্ধে পূবাইল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলো, খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রির (ওএমএস) ডিলার পূবাইলের হারবাইদ নন্দিবাড়ি এলাকার আরিফুল ইসলাম রানা (২৭), কালীগঞ্জের সাতানীপাড়ার আল-আমিন (৩৫) ও টঙ্গী পূর্ব থানার দত্তপাড়া শান্তিবাগ এলাকার হারুনুর রশিদ (৫৫)। তাদের সহযোগী ওএমএস এর অপর ডিলার কাপাসিয়ার মাসক গ্রামের শেখ বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে মনির হোসাইন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর সদর থেকে খোলাবাজারে খাদ্যপণ্য বিক্রির (ওএমএস) আটা কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে টঙ্গীর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার পূবাইল থানার এসআই হুমায়ুন কবীর স্থানীয় হায়দরাবাদ আক্কাছ মার্কেটের সামনের রাস্তায় ওএমএস এর ৬ বস্তা আটাসহ হারুনুর রশিদকে আটক করে। এসব বস্তার লেভেলে ‘‘খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সুলভ মূল্যে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুতকৃত আটা, নেট ওজন ৫০ কেজি, প্রস্তুতকারকঃ প্রগতি ফুড ইন্ড্রাস্ট্রিজ (প্রাঃ) লিঃ, আউচপাড়া, নিশাতনগর, টঙ্গী, গাজীপুর’ লেখা ছিল। পরে হারুন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব আটা ওএমএস-এর ডিলার আরিফুল ইসলাম রানা, আল আমিন ও আবুল কাশেমের ছেলে মনির হোসাইনের যৌথ মালিকানাধীন গোডাউন থেকে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করেছে বলে স্বীকার করে। প্রাপ্ত এ তথ্য অনুযায়ী পুলিশ মহানগরের উত্তর ছায়াবিথী চার রাস্তার মোড়ে (পুরাতন জেলখানা রোড) ওএমএস এর আলোচিত ৩জন ডিলারের যৌথ মালিকানাধীন গোডাউনে অভিযান চালিয়ে কালোবাজারে আটা বিক্রির সত্যতা পায়। পরে গোডাউন মালিক স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম রানা ও তার সহযোগী আল আমিনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের অপর সহযোগী ওএমএস ডিলার আবুল কাশেম এর ছেলে মনির হোসাইন পলাতক রয়েছে।
পূবাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি আটা কালোবাজারে বিক্রির অপরাধের বিচারের জন্য গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।