জাতীয়

বিরোধী দলগুলো দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: প্রধানমন্ত্রী

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : দেশের বর্তমান ক্রান্তিকালের সুযোগ নিয়ে বিরোধী দল রাজনৈতিক অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব বিরোধী দলের বিষয়ে কথা বলছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ যখন এমন ক্রান্তিলগ্নে পড়ে তখন তাদের মাঝে ওই উদ্বেগ আমরা দেখিনি। বরং দেখেছি এই সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক অশান্ত পরিবেশ কীভাবে সৃষ্টি করা যায় সেটাই যেন তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে।

বুধবার (০২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন।

মুজিবুল হক চুন্নু তার প্রশ্নে বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দায় সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়ে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন কিনা জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বললেন? আমার প্রশ্ন এখানে, দেশ যখন এমন ক্রান্তিলগ্নে পড়ে তখন আমাদের যারা বিরোধী দল আছেন আমি সবার কথা বলছি, তাদের মাঝে ওই উদ্বেগ আমরা দেখিনি। বরং দেখেছি এই সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক অশান্ত পরিবেশ কীভাবে সৃষ্টি করা যায় সেটাই যেন তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটা করাটা কি সমীচীন হচ্ছে? সমীচীন হচ্ছে না। তাহলে ওই অনুভূতিটা কোথায়? অনুভূতিটা থাকতে হবে দেশের পথে।

দেশপ্রেমটা থাকতে হবে। আজ সারা বিশ্বব্যাপী ক্রাইসিস। এই সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক অবস্থাকে ঘোলাটে করা আর ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করা এই প্রবণতাটা পরিহার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঐক্যবদ্ধ শুধু মুখে বললে হবে না। নিজের থেকে পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা কিন্তু সবাইকে নিয়ে কাজ করি।

বিএনপি’র রুমিন ফারহানার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেই বলেছি ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার কিছু লোক থাকে। সেইসব লোকের কথাই মাননীয় সদস্য বলেছেন। যে পত্রিকাগুলোর নাম তিনি নিয়েছেন তার মধ্যে একটা পত্রিকা কিন্তু আমি কখনো পড়ি না। পড়ি না এই কারণে, তারা সবসময় উল্টো দিকে থাকে। এরা কখনো বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক তা চায় না। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তারা পছন্দ করে। পছন্দ করে এই জন্য যে তাদের একটু ভালো হয়, কোনো রকম কদর বাড়ে সেজন্য। আর যে প্রতিষ্ঠানটির কথা বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানটি কোন জায়গা থেকে হিসাব পায় জানি না। এই হিসাব তাদের কখনোই সঠিক হিসাব হয় না।

প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে কিছু কিছু পত্রিকা এখন এমনভাবে একটা হেডলাইন করে যা বিভ্রান্তকর। ভেতরে জাতি দেখুক সেটা সঠিক না। সঠিক তথ্য তারা দেয় না। বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয়।

সিপিডি’র নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে প্রতিষ্ঠানটির কথা উনি উল্লেখ করেছেন সে প্রতিষ্ঠান তো কোনো কিছুই ভালো লাগে না তাদের। তাদের ভালো লাগে কখন, যখন সেনা শাসন ছিল যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, তাদের একটু কদর বাড়তো। এই আশায় তারা বসে থাকে এটাই বাস্তবতা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের দুঃখ কষ্ট লাগবে যা যা করণীয় আমাদের সাধ্যমতো করে যাব। পাশাপাশি ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য, স্যাংশনের জন্য প্রত্যেক জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। যুদ্ধ বন্ধ করার কথা আমি জাতিসংঘেও বলে এসেছি। তিনি বলেন, অনেকে বলে এসব কথা বললে কোনো কোনো দেশ নারাজ হবে। কে নারাজ হলো জানি না। আমি যে কাজ করার সেটা করে যাবো।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button