আন্তর্জাতিকআলোচিত

কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরে বড় ধরনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ নৌবহরে বড় ধরনের ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। হামলায় ৯টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোল বন্দরে এ হামলা চালানো হয়। এতে কৃষ্ণসাগর নৌবহরের একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়া অভিযোগ করেছে, এ হামলায় ইউক্রেনকে সাহায্য করেছে যুক্তরাজ্য।

২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া। তবে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এ অঞ্চল লক্ষ্য করে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। চলমান যুদ্ধে অঞ্চলটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারণ, ইউক্রেনে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে সরঞ্জাম রাখার জন্য ক্রিমিয়ার ভূমি ব্যবহার করছে রুশ বাহিনী।

নৌবহরে ড্রোন হামলার পর মস্কো বলছে, ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা এ হামলায় জড়িত। তাঁরা ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে ওচাকিভ শহরে অবস্থান করছেন। ইউক্রেন বাহিনীকে এ হামলা চালাতে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন তাঁরা। তবে এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি মস্কো। এ ছাড়া হামলার বিষয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

এদিকে ব্রিটিশ সরকার এ হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মস্কোর এ দাবি মিথ্যা।

শস্য চুক্তিতে থাকছে না রাশিয়া
যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি বন্ধ ছিল। পরে রপ্তানি চালু করতে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ চুক্তি হয়েছিল ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে। এ চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

চুক্তির পর ৮০ লাখ টন শস্য রপ্তানি করেছে ইউক্রেন। নতুন করে রপ্তানি শুরু হওয়ার পর বিশ্ববাজারে খাদ্যশস্যের দামও কমেছে। এ প্রসঙ্গে মহাসচিবের একজন মুখপাত্র বলেন, বিশ্বজুড়ে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টিতে জোর দিয়েছেন গুতেরেস।

তবে এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলছে রাশিয়া। দেশটির পক্ষ থেকে এ–সংক্রান্ত একটি নথিও জাতিসংঘে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর গত বুধবার জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত বলেছেন, তাঁরা শস্য ও সার রপ্তানি করতে পারছেন না। এসব রপ্তানি শুরু হলে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হবে।

রাশিয়ার এ দাবি আমলে নিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। রাশিয়ার শস্য ও সার রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি না করতে আহ্বান জানান তিনি।

তবে আজকে হামলার পর রাশিয়া বলেছে, যে সব জাহাজে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো ওই চুক্তির আওতায় শস্য রপ্তানিতে যুক্ত ছিল। তারা এখন আর এই চুক্তিতে থাকছে না।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button