আইন-আদালতআলোচিতজাতীয়

নগরকান্দার মেয়রকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় সাজেদা পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহদাব আকবরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফরিদ আহমেদের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর, মোহাম্মদ লিয়াকত মিয়া, মোহাম্মদ নাসির মাহমুদ ও মো. শহিদুল ফকির। তাদের বাড়ি নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায়।

আগামী ৫ নভেম্বর ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-সালথা) আসনে উপনির্বাচন হবে। এ আসনে নৌকার প্রার্থী সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব। সাজেদার মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য হয়।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ১৭ই অক্টোবরের জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. ফারুক হোসেনের পক্ষে কাজ করেন নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার। অন্যদিকে আসামিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেনের পক্ষে কাজ করেন।

ওই সময় আসামিরা মেয়রকে শাহাদাতের পক্ষে কাজ করতে এবং তার চশমা প্রতীকে ভোট দিতে বলেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, কিন্তু মেয়র নিমাই চন্দ্র আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় আসামিরা তার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

মামলায় শাহদাব আকবর চৌধুরীকে হুকুমের আসামি করা হয়।

অভিযোগে বলা হয়, শাহদাব আকবর চৌধুরীর হুকুমে ঘটনার দিন (২৫ অক্টোবর) নগরকান্দা উপজেলা থেকে নিজ অফিসে ফেরার পথে বেলা ২টা ৪৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধু পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া অপর আসামিরা বাদীকে খুন করার জন্য তার উপর মোটরসাইকেল চালিয়ে দেন। বাদী সরে গেলে প্রাণে বেঁচে যান।

ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে বাদী প্রশাসন ও দলীয় বিভিন্ন স্তরে জানান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

বাদীর আইনজীবী বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বিচারিক হাকিম ফরিদ আহমেদ বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন। আগামী ৯ নভেম্বর মামলার বাদী এবং সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করেছেন।

এ বিষয়ে নগরকান্দা পৌর মেয়র নিমাই সরকার অভিযোগ করেন, তাকে হত্যা করা হবে বলে আসামিরা হুমকি দিচ্ছেন। এ ঘটনার পর বিষয়টি তিনি প্রশাসন ও দলের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে শাদাব আকবর চৌধুরীর সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মারা যান। এরপর সংসদ সচিবালয় ১৩ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button