নতুন রাজধানীতে বিনিয়োগে মিলবে কর মওকুফ সুবিধা

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাকার্তা থেকে সরিয়ে বোর্নিও দ্বীপের পূর্ব কালিমানতানে নতুন রাজধানী নির্মাণের কাজ করছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। নতুন রাজধানীর নাম হবে নুসানতারা। এটি তৈরিতে ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারের প্রকল্প গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। ইন্দোনেশিয়ার বিদ্যমান কোম্পানিগুলো এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করলে পাবে প্রণোদনা। একই সঙ্গে মিলবে ৩০ বছরের কর মওকুফের সুযোগ। খবর রয়টার্স।
সম্প্রতি রাজধানী জাকার্তায় শত শত স্থানীয় এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক সমাবেশে নুসানতারা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল অথরিটির প্রধান বামবাং সুসান্তোনো এ তথ্য জানান।
বামবাং সুসান্তোনো বলেন, এরই মধ্যে নতুন রাজধানী স্থাপনে বাঁধ এবং রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে। এটি বোর্নিও দ্বীপের একটি অনুন্নত এলাকা। এর চারপাশ ঘিরে রয়েছে বিশালাকৃতির রেইনফরেস্ট। কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এক লাখ নির্মাণ শ্রমিক নিয়োগের মাধ্যমে আগামী বছর থেকে আরো দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য রয়েছে ২০২৪ সালের ১৭ আগস্টের আগেই নতুন রাজধানী স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা। কারণ ওই বছর নতুন প্রেসিডেন্ট ভবনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের লক্ষ্য রয়েছে প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর।
ওই সমাবেশে নতুন রাজধানীতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদন খাত সুষ্ঠুভাবে নির্মাণে কোম্পানির মালিকদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান বামবাং সুসান্তোনো। এ খাতগুলোয় বিনিয়োগ করলে শিগগিরই আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করবে সরকার। প্রণোদনার সঙ্গে ৩০ বছর ধরে কর মওকুফের সুযোগও পাওয়া যাবে।
একই সঙ্গে গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ৩৫০ শতাংশ পর্যন্ত সুপার কর কমানো হবে, যা দেশটির অন্যান্য শহরে বিনিয়োগে ট্যাক্স মওকুফের তুলনায় অধিক। শহরটি নির্মাণে অংশীদার হওয়ার বড় সুযোগ এখনই। বেসরকারি খাতের সঙ্গে চুক্তির গতি বৃদ্ধি করতে সরকার একটি ব্যবসায়িক সংস্থা গঠন করবে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার হাসপাতাল পরিচালনা সংস্থার নির্বাহী কর্মকর্তা পিটি মেডিকালোকা হারমিনার। ওই সময়ে তিনি নতুন রাজধানী নুসানতারা নির্মাণে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে জোকো উইডোডোর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হবে। তার মেয়াদ শেষে নুসানতারার নির্মাণ কার্যক্রম নিয়ে সৃষ্ট উদ্বেগ কমানোরও চেষ্টা করেন তিনি।
এদিকে প্রেসিডেন্ট পদে তৃতীয় মেয়াদেও লড়তে চান জোকো উইডোডো। তবে সাংবিধানিকভাবে তার এ নির্বাচনে বাধা দেয়া হয়েছে। এ কারণে তার উত্তরসূরি নতুন রাজধানী নির্মাণ প্রকল্পটিকে সমর্থন করবে কিনা এটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। এ প্রকল্পকে অনেকে অযৌক্তিক ব্যয় বলেও অভিহিত করেছেন।