কালীগঞ্জে পুলিশের সোর্সকে কুপিয়ে হত্যা: যুবক আটক
হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইউনুস মিয়াকে (২৪) এলাকাবাসী ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
নিহত মাসুদ রানা ভাদার্ত্তী গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। মাসুদ কালীগঞ্জ থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো এছাড়াও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক ছিল।
আটক ইউনুস দড়িসোম গ্রামের আওয়াল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়দের কাছে নিহত মাসুদ রানা কুডু পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত ছিল।
নিহতের ভাই মাসুম জানান, বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে দক্ষিণ ভাদার্ত্তী ব্রিজ এলাকায় মাসুদ রানা কুডুকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে ইউনুস। আহতাবস্থায় উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মাসুদ রানা পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালাতো।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সঞ্জয় দত্ত বলেন, সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে নিহত মাসুদ রানাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতাল আনা হয়েছে। তার বুকের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের পাঁচটি চিহ্ন রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার কর্তব্যরত অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সজিবুল হাসান খান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইউনুস মিয়াকে এলাকাবাসী ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
নিহত মাসুদ রানা কুডু পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতো কি না এ বিষয়ে কিছু জানা নেই বলে জানান তিনি।