সম্পত্তির হিসাব চেয়ে মৃত ব্যক্তিকে দুদকের নোটিশ
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত করার জন্য মৃত এক ব্যক্তির নামে নোটিস পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের রাঙামাটি সমন্বিত জেলা কার্যালয়। গত ২২ জুন দুদকের রাঙামাটি অফিসের সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত নোটিসটি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক উপসহকারী মেডিক্যাল কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র শীল বরাবর পাঠানো হয়। তবে তিনি এক বছর আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
নোটিসে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির রেকর্ডসহ পরিবারের সবার জাতীয় পরিচয়পত্র, আয়কর বিবরণী, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি পরিবারের সদস্যদের নামে অর্জিত হয়ে থাকলে তার বিবরণীসহ রাঙামাটির দুদক কার্যালয়ে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
হাজির না হলে অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্তের কোনও বক্তব্য নেই মর্মে ধরে নেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। মানিক চন্দ্র শীল রামগড় পৌরসভার মাস্টার পাড়া এলাকায় চার কোটি টাকা দিয়ে ৪০ শতক সম্পত্তি, জগন্নাথ পাড়া এলাকায় তিন কোটি টাকার সম্পত্তি, রামগড় বাজারে তিনটি দোকান প্লট এবং বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআরসহ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন মর্মে নোটিসে উল্লেখ আছে।
দুদক কর্মকর্তা প্রদত্ত নোটিসটি মানিক চন্দ্র শীলের সাবেক রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে তা গ্রহণ করেন রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ বি এম মোজাম্মেল হক। তিনি আবার নোটিসটি পাঠান প্রয়াত ডা. মানিক চন্দ্র শীলের স্ত্রী অনিতা রানী শীলকে।
তিনি দাবি করেন, তার স্বামী গত বছর করোনায় মারা গেছেন। তাদের সঙ্গে তাদের এক প্রতিবেশী বিপদ ভজনের বিরোধ রয়েছে। সেই বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে দরখাস্ত দিয়ে এবং তার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায়ও মামলা মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করেছে। হয়রানির অংশ হিসেবে দুদক কার্যালয়েও অভিযোগ করেছে।
তার স্বামী সরকারি কর্মচারী ছিল উল্লেখ করে তিনি আরও দাবি করেন, ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোনও সুযোগ তার স্বামীর বা পরিবারের কারও নেই, ছিলও না।’
দুদকের রাঙামাটি অফিসের সহকারী পরিচালক আহামদ ফরহাদ হোসেন দাবি করেন, ‘মানিক চন্দ্র শীল মারা যাওয়ার তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। নোটিস ইস্যু করার পর রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ বি এম মোজাম্মেল হক তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। সঠিক তথ্য হাতে এলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’