অগ্নিনিরাপত্তায় বার্ষিক মাথাপিছু ব্যয় মাত্র ত্রিশ টাকা
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : সরকার বছরে মাথাপিছু মাত্র ত্রিশ টাকা ব্যয় করছে অগ্নিনিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা মোকাবেলায়। মাত্র ১১ হাজারের জনবল নিয়ে লড়ছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। চাহিদা অনুযায়ী সক্ষমতা বাড়াতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি বাংলাদেশে পরপর বড় দুটি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। চকবাজারের আগুনে ৮১ জনের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ঘটে বনানীর এফআর টাওয়ার ট্র্যাজেডি। দুটি ঘটনাতেই দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন আগুন নেভাতে। সাহসিকতার সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতাও চালিয়েছেন তাঁরা।
এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার কাজে অংশ নিতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন এক ফায়ার র্সাভিস কর্মী। পরে সিঙ্গাপুর নেয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যু নাড়া দিয়েছে গোটা দেশের মানুষকেই।
দুর্ঘটনায় নিজেদের জীবন বাজি রেখে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করেছেন ফায়ার সার্ভিসের র্কমীরা। কিন্তু সেই সঙ্গে অগ্নির্নিবাপন কিংবা বড় দুর্ঘটনা মোকাবেলায় এই বাহিনীর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সংস্থাটির পেছনে সরকারের যে ব্যয় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। অন্যদিকে বছর বছর দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়ছে, যার কারণে স্বল্প লোকবল আর অপ্রতুল যন্ত্রপাতি নিয়েই উদ্ধার তৎপরতা চালাতে হয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে।
১০ বছরে ১৪৯০ জনের প্রাণহানি
দেশে প্রতিবছরই অগ্নিদুর্ঘটনা বাড়ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০০৯ সালে সারা দেশে ১২ হাজার ১৮২ টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে আনুমানিক প্রায় ৩০৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১৮ জন, আহত হয়েছেন ১ হাজার ৮৭ জন। উদ্ধার কাজ চালাতে গিয়ে সে বছর ফায়ার সার্ভিসের ১৮৩ জন কর্মীও আহত হয়েছেন, মারা গেছেন ২ জন।
২০১৮ সালে ১৯ হাজার ৬৪২ টি অগ্নি দুর্ঘটনার খবর পেয়েছে সংস্থাটি৷ এতে ১৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছেন ৬৬৪ জন, যার মধ্যে ১৩ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীও ছিলেন। গত বছর অগ্নি দুর্ঘটনায় দেশে আনুমানিক ৩৮৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
স্বভাবতই দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে ঢাকা বিভাগে। ২০১৮ সালে এই অঞ্চলে ৬ হাজার ২০৮ টি অগ্নি দুর্ঘটনার হিসাব দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এতে ১৬৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল রংপুর বিভাগ। ৩ হাজার ৪০১ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে। চট্টগ্রাম বিভাগে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬১৪ টি।
সব মিলিয়ে গেল দশ বছরে মোট ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৮ টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ১ হাজার ৪৯০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৪১ জন, অর্থাৎ, প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৫০ জনই মারা যাচ্ছেন আগুনের কারণে। এসব দুর্ঘটনায় ৪২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ৮৮ হাজার ৬১৮ কোটি টাকার মূল্যের সম্পত্তি দুর্ঘটনা থেকে উদ্ধারও করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
দুর্ঘটনা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে মানুষের ‘অসচেতনতাকে’ দায়ী করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘গ্রামেগঞ্জেও এখন ইলেকট্রনিক্সের দোকান বাড়ছে। প্রচুর ফ্রিজ কেনা হচ্ছে, তা সংযোগ দেয়া হচ্ছে লো কোয়ালিটি ওয়্যারের সাথে। এগুলোর জন্য ব্যক্তিগত সচেতনতা দরকার। বাজারে কোয়ালিটি জিনিসপত্র দরকার। সেই সঙ্গে রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনের ইমপ্লিমেন্ট দরকার।”
ফায়ার সার্ভিসে সরকারের বরাদ্দ
সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে দায়িত্ব পালন করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। মন্ত্রণালয়ের যে বাহিনীগুলো রয়েছে, তার মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সেরই বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে কম।
চলতি অর্থবছরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুটি বিভাগের অধীনে মোট ২৪,৭৭৭ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। বরাবরই এই অর্থের বড় একটা অংশ খরচ হয় বাংলাদেশ পুলিশের পেছনে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে এই বাহিনীর মোট বাজেট ছিল ১২ হাজার ৯৪ কোটি টাকা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পেয়েছে ৫০০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। অবশ্য গত বছর এই বরাদ্দ ছিল আরো কম, ৪৫২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
মাথাপিছু ব্যয় ৩০ টাকা
বছর বছর প্রাণহানি আর সম্পত্তির বড় অঙ্কের ক্ষতি হচ্ছে অগ্নি দুর্ঘটনাতে। কিন্তু তা মোকাবেলায় সরকার যে ব্যয় করে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার জন। দুর্যোগ, দুর্ঘটনা থেকে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় বাজেটে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০০.৮৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ অগ্নিকাণ্ডসহ সব ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবেলায় মাথাপিছু বার্ষিক মাত্র ৩০ টাকা ব্যয় করছে সরকার।
এই ব্যয় কতটা কম তা বোঝা যাবে উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে। ধরা যাক নরওয়ের কথা৷ ওইসিডি স্ট্যাটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মাত্র ৫৩ লাখ নাগরিকের জন্য অগ্নি নিরাপত্তায় দেশটির বাজেট ছিল ৭৭৭ কোটি ৬০ নরওয়েজিয়ান ক্রোনা, অর্থাৎ ৯১ কোটি ৮১ লাখ ডলারের বেশি। সে হিসেবে মাথাপিছু তাদের বরাদ্দ ছিল ১৭২ ডলার করে। ওইসিডি স্ট্যাটের পরিসংখ্যান ব্যবহার করে দেখা যাচ্ছে, জাপান মাথাপিছু ব্যয় করছে ১৩৪ ডলার। অন্যদিকে ফ্রান্স ১০৪ ডলার, জার্মানি ১০৭ ডলার, সুইডেন ১০২ ডলার, সুইজারল্যান্ড ৯৭ ডলার ও যুক্তরাজ্য বছরে মাথাপিছু ৫৮ ডলার ব্যয় করে জনগণের অগ্নি নিরাপত্তায়। সেখানে বাংলাদেশ ব্যয় করছে মাত্র ৩৬ সেন্ট করে।
অর্থের অভাবে অনেক প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খানও মনে করেন, চাহিদার তুলনায় বাহিনীর বাজেট যথেষ্ট নয়।
উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সারাদেশে ফায়ার সার্ভিসের মোট ৯ টি ল্যাডার রয়েছে, তার মধ্যে ৬টি ঢাকাতে। ঢাকাসহ সারাদেশেই এখন এমন যন্ত্রপাতি আরো প্রয়োজন বলে জানান তিনি। ‘‘শুধু ঢাকাতে না, ঢাকার আশেপাশে হাই রাইজ বিল্ডিং রয়েছে, সেহেতু ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে এগুলোর প্রয়োজন রয়েছে,” বলেন আলী আহমেদ খান।
জনবল ও ফায়ার স্টেশন সংকট
দশ বছর আগে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোট জনবল ছিল ৪ হাজারের মতো, তা এখন প্রায় এগারো হাজারের কাছাকাছি বলে জানান বাহিনীর পরিচালক শাকিল নেওয়াজ। তারপরও দেশের প্রতি লাখ মানুষের বিপরীতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে মাত্র ৬ জনে।
এইক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে অগ্নিনির্বাপনকর্মীদের তুলনা দিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান বলেন, আধুনিক শহরগুলোতে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীর অনুপাত হয় ১ অনুপাত ২। ‘‘অর্থাৎ দেশের দুইজন পুলিশ থাকলে ফায়ার ফাইটার থাকবে একজন। ঢাকায় ৩৬ হাজারের মতো পুলিশ আছে, সেখানে ফায়ার সার্ভিসে লোক আছে মাত্র ৬০০-র মতো।”
এই স্বল্প জনবল নিয়ে কীভাবে দায়িত্ব পালন করছে ফায়ার সার্ভিস– এমন প্রশ্নে পরিচালক শাকিল বলেন, ‘‘মিরাকলি উই আর ডুয়িং দ্য জব। পাখি ধরা থেকে শুরু করে হাজব্যান্ড ওয়াইফ মারামারি করলে, গরু পড়লে পরে, হাতি পড়লে পরে– সব কাজই আমি করি।”
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সংখ্যা ২৫ হাজারে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। ‘‘আর লোক নিলেও তা এখনই কাজে লাগানো যাবে না। প্রচুর প্রশিক্ষণের উদ্যোগ দিতে হবে৷ এজন্য সময়ের প্রয়োজন,” বলেন শাকিল।
বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৪৬০টি ফায়ার স্টেশন থাকলেও সেটাকে অপ্রতুলই বলছেন ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। স্টেশনগুলোর দূরত্ব বেশি হওয়ায় সময়মতো ফায়ার সার্ভিস দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে না জানিয়ে সাবেক মহাপরিচালক আলী আহমেদ বলেন, ‘‘এই রেসপন্স টাইম কমাতে হবে। এজন্য ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি।”
সংস্কার প্রয়োজন
অবিভক্ত ভারতে ফায়ার সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৩৯-৪০ সালে। আঞ্চলিক পর্যায়ে কলকাতা শহরের জন্য কলকাতা ফায়ার সার্ভিস এবং কলকাতার বাইরে অবিভক্ত বাংলায় বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস সৃষ্টি করে ব্রিটিশরা। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে এ অঞ্চলের ফায়ার সার্ভিসকে পূর্ব পাকিস্তান ফায়ার সার্ভিস নামে অভিহিত করা হয়৷ ১৯৫১ সালে আইনি প্রক্রিয়ায় সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গঠন করা হয়।
‘‘১৯৮২ সালে তৎকালীন ফায়ার সার্ভিস পরিদপ্তর, সিভিল ডিফেন্স পরিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্ধার পরিদপ্তর–এই তিনটি পরিদপ্তরের সমন্বয়ে বর্তমান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরটি গঠিত হয়,” উল্লেখ করা হয়েছে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে।
এখন সংস্থাটিকে পুনর্গঠন করার সময় এসেছে বলে মনে করেন সাবেক মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান। ‘‘অনেকদিনের পুরনো প্রতিষ্ঠান যেহেতু, এটাকে অর্গানাইজড ওয়েতে ডেভেলপমেন্টের একটা সুযোগ রয়েছে। এজন্য টোটাল একটা রিফর্ম দরকার, যার মাধ্যমে (এই বাহিনী) মানুষের লাইফ সেফটি হিসেবে কাজ করবে। দ্বিতীয়ত, এনফোর্সমেন্ট পাওয়ারকে স্ট্রং করতে হবে, যেখানে আলাদা সেফটি উইং থাকবে, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থাকবে, যারা প্রফেশনালি কাজ করবে এবং কমপ্লায়েন্সটা এনশিওর করবে,” বলেন তিনি।
‘স্পেশাল ফায়ার সার্ভিস রেসকিউ ফোর্স’ গঠনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক দল গড়ে তোলার পরামর্শ দেন আলী আহমেদ। এখন থেকে এসব উদ্যোগ নিলে আগামী ৩-৪ বছরের মধ্যে মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় বাহিনীটি সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।
শুধু ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়িয়ে ‘লাভ নেই’
ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সক্ষমতা না বাড়িয়ে কেবল ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক করলেই অত বেশি উপকার হবে না বলে মনে করছেন ফায়ার সার্ভিস পরিচালক এবং বিশেষজ্ঞরা।
‘‘ফায়ার সার্ভিসকে যদি সুপার-ডুপারও বানান, কোনো লাভ নেই যতদিন না ব্যক্তি পর্যায়ে সক্ষমতা বাড়ানো হবে। ইনডিভিজুয়্যাল ক্যাপাসিটি না বাড়িয়ে আমার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা রিডিক্যুলাস,” বলেন মেজর শাকিল।
‘‘অমার যে সক্ষমতা আছে তার সাথে বাকি লোকের সক্ষমতা না থাকলে তো হবে না। একটা ডিজাস্টার মোকাবেলা করতে হলে ফোর লেভেলের পার্টিসিপেশন দরকার৷ ইনডিভিজুয়্যাল, নেইবারহুড, পাবলিক প্রাইভেট এবং গভর্নমেন্ট লেভেল। আমার ক্যাপাসিটি আছে কিন্তু বাকি তিনটা না থাকলে কী করা যাবে।”
বুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদ হেলালী বলেন, পৃথিবীর সব শহরে আগুন নেভানোর জন্য ওয়াটার হাইড্র্যান্ট সিস্টেম থাকে, যা ঢাকা শহরে নেই। এজন্য ফায়ার ফাইটারদের সমস্যায় পড়তে হয়। পাশাপাশি রাস্তার যানজটের কারণেও সংস্থাটি তার সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগাতে পারে না।
তিনি মনে করেন, এককভাবে ফায়ার সার্ভিসের উপর দায়িত্ব দিয়েই অগ্নি দুর্ঘটনা মোকাবেলা সম্ভব নয় ৷ ‘‘বড় বড় ভবনগুলোতে নিজস্ব লোকবল থাকতে হবে। ফাস্ট এইড, ফায়ার ফাইটিং, পোর্টেবল ফায়ার এক্সটিংগুইশার লাগবে। মানুষের মধ্যে এই সচেতনতাটি তৈরি করতে হবে,” বলেন মাকসুদ হেলালী।
সূত্র: ডয়চে ভেলে