মুক্তমত

অডিও রেকর্ড এড়িয়ে মন খুলে যা খুশি তা–ই বলতে পারবেন পাঁচটি উপায়ে

জাওয়াদুল আলম : ‘দেয়ালেরও কান আছে’—প্রচলিত এ প্রবাদ মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। ডিজিটাল এ সময়ে আড়ি পাতা হচ্ছে ফোনকলে। তাই অডিও রেকর্ডারই এখন এক অদৃশ্য কান। রেকর্ডিংয়ের ভয়ে এখন মন খুলে দু-চারটি কথাও বলা যায় না। বেফাঁস কিছু বলে ফেলবেন আর সঙ্গে সঙ্গেই সেটা হয়ে যাবে ‘ভাইরাল’। তারপর মানসম্মান, পদ এবং ‘চাকরি’ হারানোর আশঙ্কা তো আছেই। কিছু উপায়ও অবশ্য আছে, যা অনুসরণ করে কথা বললে ফোনকলের অডিও রেকর্ড এড়িয়ে মন খুলে যা খুশি তা–ই বলতে পারবেন….

১. ওল্ড ইজ গোল্ড

চিঠি লেখার দিনে ফিরে যান। মনের ভাব প্রকাশের জন্য এটাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। যা খুশি তা-ই লিখে ফেলতে পারবেন। প্রাপক আর প্রেরকের মধ্যে সব তথ্য গোপন থাকবে। তবে চিঠি পাঠানোর ক্ষেত্রে যদি ডাকপিয়নকে অবিশ্বাস করেন, তাহলে কবুতরের পায়ে চিঠি বেঁধে পাঠিয়ে দিন। কেউ আর লুকিয়ে আপনার চিঠি পড়ে ফেলতে পারবে না।

২. ভিডিও কল, তবে…

মুখে কোনো আওয়াজ না করে ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা কৌশলী আর সৃজনশীল হতে হবে। এ জন্য ইশারাভাষা শিখুন। এরপর অপর প্রান্তের ব্যক্তিকে ভিডিও কল দিয়ে ইশারাভাষায় মন খুলে কথা বলুন। আপনি যদি সৃজনশীল হয়ে থাকেন, তাহলে মূকাভিনয় রপ্ত করতে পারেন। আপনার মনের ভেতরে থাকা যাবতীয় কথাবার্তা মূকাভিনয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারবেন। গোপনে কথা বলা ছাড়াও মূকাভিনয়ের এ দক্ষতা দিয়ে আপনি কিন্তু রাতারাতি তারকাও বনে যেতে পারেন।

৩. টেলিপ্যাথি

আগেই বলে নেওয়া ভালো, বিজ্ঞানের ওপর অগাধ বিশ্বাস থাকলে এ পথ আপনার জন্য নয়। তবে যাঁরা খানিকটা কল্পনাপ্রবণ কিংবা বিজ্ঞানের বাইরেও চিন্তা করতে আগ্রহী, তাঁরা চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো টেলিপ্যাথি। হ্যাঁ, টেলিপ্যাথির মাধ্যমে মনের ভাব আদান–প্রদান করুন। টেলিপ্যাথিতে মুখ দিয়ে কথা বলা তো দূরের কথা, হাত–পা নাড়িয়ে ইশারাও করতে হবে না। আপনার চিন্তা আরেকজনের মস্তিষ্কে ধরা পড়বে। অডিও–ভিডিও এমনকি অলিম্পিকে রেকর্ড হওয়ারও কোনো আশঙ্কা নেই।

৪. সহকারীকে ব্যবহার করুন

নতুন কিছু শেখা যদি আপনার কাছে ঝক্কি মনে হয়, তাহলে একজন সহকারী নিয়োগ দিন। আপনার কথাগুলো সহকারীর মুখ দিয়ে বলান। যদি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে যায়, তাহলে ধরা পড়বে আপনার সহকারীর কাছে। আর ধরা পড়ার পর যদি সহকারী আপনাকে ফাঁসিয়ে দেয়, সেখানেও বাঁচার উপায় আছে। এ রকম বিপদে ওই সহকারীকে আপনার আশপাশে থাকা একজন ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিন।

৫. তুরুপের তাস

ধরুন, ওপরের কোনো পদ্ধতিই অনুসরণ করলেন না। মুঠোফোনে মুখ ফসকে বেফাঁস কিছু বলেই ফেলেছেন। তখন কৌশলে দায় স্বীকার করে নিন। তখন সব দোষ হতভাগা মুখের। এ রকম অবস্থায় আপনার মন্তব্য হবে, ‘আমার মুখ এসব বলেছে। মুখের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের দায় পুরো ব্যক্তি হিসেবে আমি নেব না।’

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button