গাজীপুরে ইঞ্জিনিয়ার হত্যার রহস্য উদঘাটন করল র্যাব
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে খুন হওয়া ইঞ্জিনিয়ার কাইয়ূমের হত্যাকারীকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১ এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আটককৃত আঞ্জুমান ওরফে আঞ্জু (২৫) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার মীরদেওহাটা এলাকার মো. সবুর মিয়া ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ১৩ মার্চ ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান থেকে অর্ধ-গলিত অবস্থায় একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে জিএমপি সদর থানায় মামলা হয়। লাশটি ছিল রাজধানীর বসুন্ধরা নিবাসী ইঞ্জিনিয়ার আ. আব্দুল কাইয়ুমের (৩২)। তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে খুন করে তার লাশের মুখে এসিড ঢেলে দেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-১ এর গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরাও এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকায় অভিযান চালিয়ে একমাত্র আসামী আঞ্জুমান ওরফে আঞ্জুকে (২৫) আটক করে র্যাব।
র্যাব জানায়, টাঙ্গাইলে খালার বাড়ি বেড়াতে গেলে আঞ্জুর সঙ্গে কাইয়ূমের সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। আঞ্জু ২০১৭ সালে চাকরি করতে মালদ্বীপে যায়। বাংলাদেশে ফেরত এসে কাইয়ূমকে সরকারি উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে ২০ লাখ টাকার চুক্তি করে।
২০১৮ সালে কাইয়ূমের কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়ে মালয়েশিয়া চলে যায় আঞ্জু এবং এই টাকা আত্মসাতের ফন্দি করে। গত ৪ মার্চ আঞ্জু বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং আত্মগোপনে থাকে।
র্যাব আরো জানায়, কাইয়ূম এক তরুণীকে পছন্দ করতো যা আঞ্জু জানত। হবু স্বামীসহ ওই তরুণীর ন্যাশনাল পার্কে ঘুরতে আসার খবর কাইয়ূমকে আঞ্জু জানায়। ওই তরুণীকে অপহরণ করে কাইয়ূমের হাতে তুলে দেওয়া হবে আশ্বাস দিয়ে ৯ মার্চ আঞ্জু তাকে নিয়ে গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্কের গভীর জঙ্গলে চলে যায়।
সন্ধ্যার দিকে ছবি তোলার কথা বলে গাছের সাথে দাঁড় করিয়ে কাইয়ূমকে পেছন থেকে গলা চেপে ধরে আঞ্জু। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর কেউ যাতে কাইয়ূমকে শনাক্ত করতে না পারে সে জন্য লাশের মুখে এসিড ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যায় সে।