ওসি ওয়াজেদের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদের ঝড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : বাংলাদেশ পুলিশের সৎ নিষ্ঠাবান ও জনবান্ধব যে কজন অফিসার আছে, তার মধ্যে কাজী ওয়াজেদ মিয়া অন্যতম। যিনি ৯২ ব্যাচে অফিসার পদে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। নিজের কর্মদক্ষতায় পেয়েছেন নানা পুরস্কার । বিভিন্ন থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সততার সঙ্গে। দায়িত্ব পালনে স্বীকৃতি পেয়েছেন শতভাগ সেবার মনোবৃত্তিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জনবান্ধব অফিসার হিসেবে।
সেই ওসি ওয়াজেদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আনা হয়েছে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ। দায়ের করা হয়েছে মামলা। এতে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগসহ সাংবাদিক কমিউনিটিতে। মামলাটিকে মিথ্যা বানোয়াট বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। এছাড়া প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদ জানিয়েছে যাত্রাবাড়ী এলাকার সচেতন মানুষ।
রাজধানীতে পতিতাবৃত্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে। নানা কৌশলে ফাঁসিয়ে বা প্রলোভন দেখিয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়ানো হচ্ছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কৌশলে যে দেহ ব্যবসা চলছে তা হয়তো কারো অজানা নয়। কিন্তু নির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে এসব আখড়ায় হানা দেয় পুলিশ।
গত ১৪ মার্চ যাত্রাবাড়ী থানায় এমনই এক গোপন সংবাদ আসে। যাত্রাবাড়ীর একটি আবাসিক এলাকায় রমরমা দেহ ব্যবসা জমিয়ে তুলেছেন এক নারী। এ তথ্যের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।
অভিযানে ধরা পড়ে বেশ কজন দেহ ব্যবসায়ী। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে দেয় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। কিন্ত ঘটনার আড়ালে জন্ম হয় আরেক ঘটনার।
অভিযানের সময় পুলিশকে টাকা দিয়ে আপস মীমাংসার প্রস্তাব দেয়া হলেও পুলিশ তাতে কর্ণপাত না করে তাদের দায়িত্ব পালন করে। ফলে ওই দেহ ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে থাকা এক নারীর চক্ষুশুলে পরিণত হয় পুলিশ৷ পুরনো ক্ষোভ জমিয়ে রেখে জামিনে বের হয়েই মামলা করেন যাত্রাবাড়ী মডেল থানার ওসি কাজী ওয়াজেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে।
মামলার অভিযোগে বলেন, তারা সবাই ওই নারীকে অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে। আর এসব কাজে যুক্ত ছিলেন মোছা. লাইজু নামে যাত্রাবাড়ী থানায় কর্মরত এক নারী সাব-ইন্সপেক্টরও।
ওসি কাজী ওয়াজেদ সম্পর্কে এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ যাত্রাবাড়ী থানায় সুনামের সঙ্গে কর্মরত রয়েছেন ওসি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে এমন মামলার খবর আমরা বিশ্বাস করিনা। তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে ওসিকে, তিনি ভালো মানুষ এতে কোনো সন্দেহ নেই।
এ ব্যাপারে ওসি কাজী ওয়াজেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগে মামলা করা হয়েছে, আমার দ্বারা এমন কাজ সম্ভব কিনা তা সহকর্মীরাই জানেন। যিনি আদালতে মামলা করেছেন তার সেই মামলার তদন্তও আইন অনুযায়ী চলছে। এটা আদালতের ব্যাপার। আমার বেশি কিছু বলার নেই।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের অভিযান থামানোর একটা অপচেষ্টার অংশও হতে পারে এ মিথ্যা মামলা। পতিতালয় থেকে ওই নারীকে হাতে নাতে ধারার ক্ষোভ থেকেই তিনি এটা করেছেন।