ইউপি নির্বাচন: ৭৪ কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ২৯টি এবং অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ কেন্দ্র
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জের ছয় ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার। নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ রিবাজ করছে প্রতিটি ইউনিয়নে।
ছয় ইউনিয়ন পরিষদের মোট ৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৭টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ২৯টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২৮টি সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দিতে প্রায় ৭’শ পুলিশ সদস্যের সঙ্গে আরও ১ হাজার ২৫৮ জন আনসার ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। মাঠে থাকবে ৫ প্ল্যাটুন বিজিবি এবং র্যাব সদস্যরা। এছাড়াও দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া, বক্তারপুর, জাঙ্গালিয়া, বাহাদুরসাদী, জামালপুর এবং মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদে ২১ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই ছয় ইউনিয়নে ৭৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬২৪ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার সংখ্যা ৮১ হাজার ১৮৬ জন এবং পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৪৩৮ জন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ”৭৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৬টি ভোটকেন্দ্রে সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ জন্য এই ৪৬টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন। তবে এসব কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা।”
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন কালীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লড়াই হবে। ছয় ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন প্রার্থী। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৫৭ প্রার্থী। অপরদিকে সাধারণ সদস্য পদে ২০৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে,
জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ৬টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩ টি সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন।
১ নং ওয়ার্ডে কাপাইশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
২ নং ওয়ার্ডে চুপাইর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং চুপাইর উচ্চ বিদ্যালয় নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৩ নং ওয়ার্ডে ছৈলাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৪ নং ওয়ার্ডে কলাপটুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৫ নং ওয়ার্ডে মেন্দিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৬ নং ওয়ার্ডে জামালপুর ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র সাধারণ এবং বেগম সাহিদা মোল্লা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৭ নং ওয়ার্ডে জামালপুর কলেজ পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং জামালপুর কলেজ নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৮ নং ওয়ার্ডে নারগানা দক্ষিণপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৯ নং ওয়ার্ডে নারগানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
জাঙ্গালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ৬টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪ টি সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন।
১ নং ওয়ার্ডে দড়ি জাঙ্গালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
২ নং ওয়ার্ডে জাঙ্গালিয়া ছিদ্দিক মিয়া ফাজিল মাদ্রাসা পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৩ নং ওয়ার্ডে দুবরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৪ নং ওয়ার্ডে ছাতিয়ানী আলিম মাদ্রাসা পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৫ নং ওয়ার্ডে পুনসহি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পুনসহি উচ্চ বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৬ নং ওয়ার্ডে আজমতপুর আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৭ নং ওয়ার্ডে বরাইয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৮ নং ওয়ার্ডে নরুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৯ নং ওয়ার্ডে নরুন উচ্চ বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
তুমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ৪টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৪টি সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
১ নং ওয়ার্ডে রাঙ্গামাটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
২ নং ওয়ার্ডে চুয়ারীখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৩ নং ওয়ার্ডে তুমুলিয়া বালিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৪ নং ওয়ার্ডে আরাচাঁনখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-১ পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং আরাচাঁনখোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-২ নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৫ নং ওয়ার্ডে টেকমানিকপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৬ নং ওয়ার্ডে টিউরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৭ নং ওয়ার্ডে বোয়ালী উচ্চ বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৮ নং ওয়ার্ডে উত্তর সোম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৯ নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ সোম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ৮টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৩টি সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
১ নং ওয়ার্ডে ভাটিরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
২ নং ওয়ার্ডে মাঝুখান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৩ নং ওয়ার্ডে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়-১ এবং জনতা উচ্চ বিদ্যালয়-২ পুরুষ এবং নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৪ নং ওয়ার্ডে ব্রাহ্মণগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৫ নং ওয়ার্ডে বেরুয়া এ,আর,খান উচ্চ বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৬ নং ওয়ার্ডে বক্তারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৭ নং মোহানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৮ নং ওয়ার্ডে সাতানীপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৯ নং ওয়ার্ডে খৈকড়া উচ্চ বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ এবং উত্তর খৈকড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক সাধারণ।
বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন পরিষদের ৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ১টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৭টি সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
১ নং ওয়ার্ডে বেগম রোকেয়া আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
২ নং ওয়ার্ডে বাহাদুরসাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৩ নং ওয়ার্ডে দক্ষিণবাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৪ নং ওয়ার্ডে খলাপাড়া দারুল আমান দাখিল মাদ্রাসা পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৫ নং ওয়ার্ডে শহীদ ফকির শামসুদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৬ নং ওয়ার্ডে খলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৭ নং ওয়ার্ডে ঈশ্বরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৮ নং ওয়ার্ডে জুগলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৯ নং ওয়ার্ডে বেতুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ৪টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৭টি সাধারণ ভোট কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।
১ নং ওয়ার্ডে নোয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং নোয়াপাড়া ময়েজ উদ্দিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
২ নং ওয়ার্ডে বাঘুন উচ্চ বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র এবং নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৩ নং ওয়ার্ডে শিংলাব সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র ও নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৪ নং ওয়ার্ডে বড়গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এবং বড়গাঁও বাইতুল উলুম আলিম মাদ্রাসা নারী ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ।
৫ নং ওয়ার্ডে ধনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বরাইদ উত্তর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
৬ নং ওয়ার্ডে রাথুরা ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ এবং নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৭ নং ওয়ার্ডে মোক্তারপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ এবং নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৮ নং ওয়ার্ডে সাওরাইদ উচ্চ বিদ্যালয় পুরুষ এবং নারী ভোটকেন্দ্র সাধারণ।
৯ নং ওয়ার্ডে ডেমরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ ও নারী ভোটকেন্দ্র অধিক সাধারণ।
জেলা পুলিশ ও কালীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, ”শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করার লক্ষ্যে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রগুলোয় তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রসহ সকল কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে একজন পুলিশ পরিদর্শক, একজন করে এসআই এবং চারজন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করবেন।”
”এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে একজন এসআই এবং চারজন করে কনস্টেবল মোতায়েন থাকবে। সেই সঙ্গে প্রতিটি কেন্দ্রে ১০জন করে পুরুষ ও ৭জন করে নারী আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবেন। এ ছাড়া ৬টি ইউনিয়নে পুলিশের ১০ মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবে। সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৬টি। স্ট্যান্ডবাই থাকবে পুলিশের আরো ৩টি টিম। এছাড়াও ৬ টি চেকপোস্টে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সব মিলিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ৬৯৭ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।”
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ”কালীগঞ্জের ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: শরিফুল ইসলাম সিনিয়র (তুমুলিয়া, বক্তারপুর ও জাঙ্গালিয়া) এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন (বাহাদুরসাদী, জামালপুর ও মোক্তারপুর) নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।”
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিবলী সাদিক বলেন, ”নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ‘মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯’ এর প্রাসঙ্গিক আইনের আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি ৫ প্লাটুন বিজিবি (মোট ১০০ সদস্য), বিপুল সংখ্যক র্যাব, পুলিশ এবং আনসারের ১ হাজার ২৫৮ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।”
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে ৭৪টি ভোট কেন্দ্রের ৪৫৪টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।
এ সংক্রান্ত আরো জানতে……
ইউপি নির্বাচন: প্রচার শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
ইউপি নির্বাচন: মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ
কালীগঞ্জের জাঙ্গালিয়ায় চেয়ারম্যান পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জলিলকে দল থেকে বহিস্কৃার
ইউপি নির্বাচন: স্বতন্ত্র প্রার্থী জলিলকে প্রাণনাশের হুমকি, পোস্টার ছিঁড়ে পুকুরের পানিতে!
কালীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী
কালীগঞ্জে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সদস্য নির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতা মোমেন
ইউপি নির্বাচন: কালীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ২০ প্রার্থীসহ ২৮৮ জনের মনোনয়ন বৈধ
কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বর্তমান ৫ চেয়ারম্যান এবং নতুন ১ প্রার্থী
প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচার নয়: ২টার আগে ও ৮টার পরে মাইক বাজানো যাবে না
ইউপি নির্বাচন: কালীগঞ্জের ছয় ইউনিয়নে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১২ জন
ইউপি ভোট: নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষ অনুদান-ত্রাণ বিতরণ নয়
‘মাইম্যান প্রার্থী করতে জনপ্রিয়দের বাদ’, দলীয় ফরম বিক্রি উন্মুক্ত করল আওয়ামী লীগ
কালীগঞ্জের ৬ ইউনিয়নে ভোট ১১ এপ্রিল: সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় নাগরী!