গাজীপুর কণ্ঠ, খেলাধুলা ডেস্ক : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আচরণবিধি ভাঙার দায়ে তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
শনিবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় বিবৃতি দিয়ে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস এই তথ্য জানিয়েছে।
স্টাম্পে লাথি, আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক, স্ট্যাম্প তুলো আছাড় দেয়া, মাঠ ছাড়ার পর প্রতিপক্ষের ড্রেসিংরুমের কাছে গিয়ে অশালীন আচরণ – এক ম্যাচেই এতগুলো ঘটনা। আর যিনি ঘটিয়েছেন তিনি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অবিশ্বাস্য হলেও শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ম্যাচে এতগুলো ঘটনার জন্ম দিয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এই অধিনায়ক।
শুক্রবার সারাদিনই ঘটনাটি আলোচনায় ছিল দেশের গণমাধ্যমে। খবর হয়েছে বিভিন্ন বিদেশি সংবাদমাধ্যমেও। একদিন পর এই ঘটনার জন্য সাকিবের শাস্তি নির্ধারণ করেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস।
আচরণবিধি ভাঙায় মোহামেডান অধিনায়ককে প্রতিযোগিতার পরবর্তী তিন ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও গুণতে হবে সাকিবকে।
অবশ্য আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায়ই ফেইসবুক পোস্টে, ‘মেজাজ হারানোর জন্য ও ম্যাচ নষ্ট করার জন্য’ দুঃখপ্রকাশ করেন সাকিব। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের উচিত হয়নি এভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো, কিন্তু কখনও কখনও দুর্ভাগ্যজনকভাবে সবকিছুর বিরুদ্ধে এরকম হয়ে যায়।’’
বিষয়টিকে ‘মানবিক ভুল’ উল্লেখ করে সাকিব বলেন, ‘‘এজন্য আমি দলগুলির কাছে, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্ট অফিসিয়ালস ও আয়োজক কমিটির কাছে ক্ষমা চাইছি। আশা করি, ভবিষ্যতে আমি আর এরকম করব না।’’