যে কারণে বিল গেটসকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন মেলিন্ডা
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম ধন্যাঢ্য ও প্রখ্যাত মানবহিতৈষী দম্পত্তি বিল ও মেলিন্ডা গেটসের বিবাহ বিচ্ছেদের পেছনে এখন পর্যন্ত নানা কারণ উঠে এসেছে। তবে এর মধ্যে বড় একটি কারণ ছিল শিশুদের যৌন নিপীড়নের অপরাধে অভিযুক্ত মার্কিন ধনকুবের জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে বিল গেটসের সংশ্লিষ্টতা। এ নিয়ে ২০১৯ সাল থেকেই স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিলেন মেলিন্ডা। ওই বছরের অক্টোবরে বিভিন্ন সংস্থার আইনজীবীদের সাথে বিচ্ছেদের ব্যাপারে আলোচনার এক পর্যায়ে বলেছিলেন, এ বিয়ের সম্পর্ক এমনভাবে ভেঙে গেছে যে তা আর জোড়া লাগানো সম্ভব না। সম্প্রতি বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট নথিপত্র ও সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, এপস্টেইনের সঙ্গে বিলের সংশ্লিষ্টতা ঘিরে ২০১৩ সাল থেকেই উদ্বেগ দেখা দেয় মেলিন্ডার মাঝে।
২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেশ কয়েকবার এপস্টেইনের সঙ্গে দেখা করেন বিল। একবার এপস্টেইনের নিউ ইয়র্ক টাউনহাউজে রাতও কাটিয়েছিলেন তিনি। ওই সময় মাইক্রোসফটের এক মুখপাত্র জানান, এপস্টেইনের সঙ্গে দাতব্য বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বিল গেটস।
উল্লেখ্য, শিশু-কিশোরীদের পাচার ও জোর করে যৌনদাসীর কাজ করানোর মতো গুরুতর অভিযোগে কারাবাসে থাকাকালে মারা যান এপস্টেইন।
মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগে একটি স্বল্প-পরিচিত বায়োটেক ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট বরিস নিকোলিককে নিজের উইলের নির্বাহী করে যান তিনি। নিকোলিক পূর্বে বিল গেটসের বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। সম্প্রতি এক ডজনেরও বেশি জিন সম্পাদনা বিষয়ক সংস্থায় অর্থায়ন করেছেন তিনি।
ওই সময় ব্লুমবার্গকে দেয়া এক বক্তব্যে নিকোলিক জানান, উইলের ব্যাপারে আগ থেকে তাকে কিছু জানাননি এপস্টেইন। তিনি আরো জানান, এপস্টেইনের উইল অনুযায়ী দায়িত্ব সম্পাদনের কোনো ইচ্ছাও তার নেই।