আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে হামলার উসকানি, যুক্তরাজ্যে একজনের কারাদণ্ড

গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, সরকার ও পুলিশের ওপর হামলা চালাতে উসকানি দেওয়ায় যুক্তরাজ্যে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

শুক্রবার লন্ডনের উলউইচ ক্রাউন কোর্ট এ দণ্ডাদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত মুন্না হামজাকে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ লন্ডন থেকে গ্রেপ্তার করে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম কমান্ডের সদস্যরা।

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরো জানানো হয়, মুন্না হামজার কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে আরো এক বছর নজরদারির আওতায় থাকতে হবে বলে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।

সন্ত্রাসবাদে উসকানি দেওয়ার তিন অভিযোগে শুক্রবার উলউইচ ক্রাউন কোর্ট তাকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেয় বলে পুলিশের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জোগাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামজার পোস্ট সম্পর্কে ব্রিটেনের এক নাগরিক পুলিশকে জানালে দ্রুত গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেয়া হয়।

পুলিশকে তথ্য দেয়া ওই ব্যক্তির প্রশংসা করে কাউন্টার টেররিজম কমান্ডের প্রধান কমান্ডার রিচার্ড স্মিথ বলেন, ‘‘এর ফলে সহিংসতা ও সন্ত্রাস উসকে দেওয়ার মতো আর কোনো কিছু প্রকাশ করা থেকে তাকে আমরা বিরত রাখতে পেরেছি। তা না হলে ভয়াবহ কিছু ঘটে যাওয়ার শঙ্কা ছিল।’’

২০১৮ সালের ১৭ মে হামজার আগের দিনের একাধিক পোস্ট নিয়ে সতর্ক করেন এক ব্যক্তি। কাউন্টার টেররিজম কর্মকর্তারা তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি উদ্বেগজনক পোস্ট খুঁজে পান। সেসব পোস্টে হামজা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের বিরুদ্ধে ‘মারাত্মক সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড’ সংঘটনে অন্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

৪ জুলাই দক্ষিণ লন্ডনের কর্মস্থল থেকে হামজাকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য তার কম্পিউটার, ফোন ও মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়। ওই সব পোস্ট প্রকাশের দায় স্বীকার করলে তাকে তখন জামিন দেয়া হয়।

তার ওইসব পোস্ট পর্যালোচনা করে যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পেলে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ‘টেররিজম অ্যাক্ট’ এর ১ (২) ধারায় সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ জোগানোর চার ধরনের ঘটনায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি তিনটি ঘটনায় হামজার বিরুদ্ধে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button