গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে সরকারের ২১ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি ও আত্মসাতের অভিযোগে গাজীপুর সদরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৫টি মামলা অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সম্প্রতি ওই মামলাগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই সংস্থাটির ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক সুমিত্রা সেন বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করবেন।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
অনুমোদনকৃত মামলার আসামিরা হলেন, গাজীপুর সদরের সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম, কালীগঞ্জ বাসিন্দা সেন্টু পলান ওরফে যোসেফ পালমা, গাজীপুর সদরের বাসিন্দা মো. ইসমাইল মোল্লা, গাজীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী মো. মোশারফ হোসেন, বাসন ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভুমি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশিদ, জয়দেবপুরের বাসিন্দা মোসা. সখিনা, ঝিনাইদাহের বাসিন্দা মো. আবু জাফর, গাজীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী সুশীল চন্দ্র মল্লিক, গাজীপুর সদরের বাসিন্দা কাজী আব্দুল মমিন, মো. মিজানুর রহমান, গাজীপুর সদরের বাসিন্দা হাজী মো. মাইন উদ্দিন, মো. ইমান উদ্দিন ও তার স্ত্রী আয়েশা খাতুন, গাজীপুর সদরের বাসিন্দা মো. বাবুল চৌধুরী ও মো. হারুন সরকার।
এর মধ্যে গাজীপুর সদরের সাব-রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামকে পাঁচটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে মনিরুল ইসলাম এখন লন্ডনে রয়েছেন।
অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরষ্পর যোগসাজশে জালজালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা তথ্যে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিল রেজিস্ট্রি করে সরকারের ২১ লাখ ১০ হাজার ১৫৪ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন ও আত্মসাত করেছেন। যে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন সূত্রে আরও জানা গেছে, সাব-রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলামকে আদালত প্রায় ২ বছর আগে আত্মসাতকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমাদানের জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু তিনি সেই টাকা জমা দেননি।
এ সংক্রান্ত আরো জানতে…
সাব-রেজিস্ট্রার মনিরুলের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ