কালীগঞ্জে চটপটির দোকানে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ: আদালতে দায় স্বীকার করলো ধর্ষক
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ইউনিয়নের পোটান এলাকায় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১০) চটপটির দোকানে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজিবুর রহমান (৪৭) আদালতে ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের অতিরিক্ত চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুল ইসলাম এর আদালতে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মজিবুর রহমান।
এর আগে রোববার (১৫ নভেম্বর) দুুপুরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মজিবুরকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশু পোটান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
গ্রেপ্তার মজিবুর রহমান মোক্তারপুর ইউনিয়নের পোটান গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে। সে জয়দেবপুর-ইটাখোলা বিশ্ব রোড সংলগ্ন কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ইউনিয়নের পোটান এলাকায় পোটান বিলে স্বপ্ন নগর নামে একটি ফুসকা ও চটপটির দোকান পরিচালনা করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার দিকে জয়দেবপুর-ইটাখোলা বিশ্ব রোড সংলগ্ন মোক্তারপুরের পোটান বিলে স্বপ্ন নগর নামে ফুসকা ও চটপটির দোকানে ফুসকা কিনতে যায় নির্যাতনের শিকার ওই শিশু। পরবর্তীতে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ওই শিশু খুঁজতে থাকে তার পরিবারের সদস্যরা। পরদিন ১৫ নভেম্বর (রোববার) সকাল ৯ টার দিকে মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজ মিয়া নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর বাবাকে ফোন করে জানায় তার মেয়েকে নোয়াপাড়া বাজারে পাওয়া গেছে। এরপর নোয়াপাড়া বাজার থেকে ওই শিশুকে বাড়ি নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। তখন নির্যাতনের শিকার ওই শিশু পরিবারের সদস্যদের জানায়, সে প্রথমে ফুসকা কিনতে হাসানের দোকানে গেলে হাসান তাকে কলা, ফুসকা ও চটপটি খাওয়ায়। হাসানের দোকানে ফুসকা বানানোর আলু ভর্তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় পরে সে প্রতিবেশী মজিবুর রহমানের স্বপ্ন নগর দোকান থেকে বাড়ির জন্য ফুসকা কিনতে যায়। সে সময় মজিবুর তার দোকানের ভেতরে তাকে আটকে রাখে এবং রাতভর জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সকাল ৬ টার দিকে তাকে মোটরসাইকেলে নিয়ে নোয়াপাড়া বাজারে নামিয়ে চলে যায় মজিবুর।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর বাবা বলেন, ‘ঘটনার পর রোববার দুুপুরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মজিবুরকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি’।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘রোববার দুুপুরে মজিবুরকে তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। সোমবার বিকেলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার মজিবুর রহমানকে আদালতে পাঠানো হয়’।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘গাজীপুরের অতিরিক্ত চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুল ইসলাম এর আদালতে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মজিবুর রহমান। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত’।
তিনি আরো বলেন, ‘সোমবার দুপুরে নির্যাতনের শিকার ওই শিশুকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে’।
এ সংক্রান্ত আরো জানতে……..
কালীগঞ্জে চাচিকে ধর্ষণ: ১৬ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি সফিকুল, শঙ্কায় ভুক্তভোগীর পরিবার!
কালীগঞ্জে চাচিকে ধর্ষণ করল ভাসুরের ছেলে, থানায় মামলা
কালীগঞ্জে জমি কেনার টাকা নিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ফারুক পলাতক