লাল গোলাপ কেন ভালোবাসার প্রতীক?
গাজীপুর কণ্ঠ ,লাইফস্টাইল ডেস্ক : ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী ফুলের বিশেষ করে গোলাপের চাহিদা চরম আকারে বেড়ে যায়।
গোলাপের আছে নানান প্রকারভেদ। কিন্তু এদের মধ্যে ভালোবাসা দিবস লাল গোলাপের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। কারণ লাল গোলাপকে বিবেচনা করা হয় ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে। কিন্তু কেন? এই ইতিহাস জানতে হলে আপনাকে ঘড়ির কাটা ঘুরিয়ে ফিরে যেতে হবে পৌরাণিক যুগে।
প্রাচীন গ্রীকদের ভালোবাসার দেবী ছিল অ্যাফ্রোদিতি। রোমানরা আবার তাকে ডাকতো ভেনাস নামে। তবে এই উভয় সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশ্বাস করতো দেবী অ্যাফ্রোদিতি তার প্রেমিক অ্যাডোনিসকে খুব ভালোবাসতো। আর প্রেমিকের বিরহে অ্যাফ্রোদিতির বুকে যে রক্তক্ষরণ হতো সেই রক্তে গোলাপের রং হয়ে উঠেছে লাল।
তবে পৌরাণিক এই কাহিনিকে সপ্তদশ শতকে জনপ্রিয় করে তোলেন সুইডেনের রাজা দ্বিতীয় চার্লস। তিনি পার্সিয়া ভ্রমণে গিয়ে ফুলের ভাষা নামে একটি সাংকেতিক ভাষা প্রচলনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, এই ভাষা হবে কথা না বলে অনেক কথা বলা। যেমন কেউ যদি কাউকে হলুদ গোলাপ দেয় তবে বুঝতে সে তাকে হতাশ করেছে। পার্পেল রংয়ের গোলাপ দিলে বুঝতে হবে সে দুঃখিত এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছেন। এবং কেউ যদি লাল গোলাপ দেয় তবে বুঝতে হবে সে গভীর প্রেমে অনুরক্ত।
মূলত রাজা এবং পৌরাণিক এই দুই কাহিনি মিলিয়ে সেই সতের শতক থেকে লাল গোলাপ হয়ে উঠেছে বিশ্বে ভালোবাসার প্রতীক। ফলে এখন ভালোবাসা দিবস কিংবা প্রেম নিবেদনে প্রেমিক-প্রেমিকার হাতে দেখা মেলে লাল গোলাপের।
তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট