গাজীপুর

প্রবাসীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা: এসআই আব্দুল হালিমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ হাইকোর্টের

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : প্রবাসীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করার কারণে জয়দেবপুর থানার এসআই মো. আব্দুল হালিমকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহারের জন্য গাজীপুরের এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এছাড়া, শুনানি শেষে এসআই আব্দুল হালিমকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

আদালতে শুনানিতে এসআই আব্দুল হালিমের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল।

এছাড়াও আদালত শুনানিতে মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত তদারকিতে মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের আইজি ও সকল এসপিকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

হাইকোর্ট এই আদেশের পাশাপাশি দেশের সকল মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত এক মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে তদন্ত শেষ না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর জয়দেবপুর থানার এসআই মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দশ পিস ইয়াবাসহ রাজু আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে রাজু আহমেদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নরওয়ে প্রবাসী নুরুল ইসলামসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখের রাজেন্দ্রপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তবে, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

এ অবস্থায় ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখ হাইকোর্টে হাজির হয়ে ওই মামলায় আগাম জামিন চাইতে হাইকোর্টে ২০১৮ সালের ০৬ ডিসেম্বর আবেদন জানান। পরে আদালত নরওয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখকে কেন এবং কীভাবে মাদকের (ইয়াবা) মামলায় আসামি করা হয়েছে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এই ব্যাখ্যা দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।

একইসঙ্গে, ঘটনা তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে ড. মো. নুরুল ইসলাম শেখকে চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছিলেন আদালত।

আদালতের আদেশের পরে এক সপ্তাহের মধ্যে নুরুল ইসলামকে বাদ দিয়ে (১০ ডিসেম্বর) অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আর এ বিষয়টি হাইকোর্টের তদন্তে উঠে আসে। ওই প্রবাসীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করার কারণে এ মামলার বাদী জয়দেবপুর থানার এসআই আব্দুল হালিমকে তলব করেন হাইকোর্ট।

নুরুল ইসলাম শেখ ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডে যান। সেখানে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর নরওয়ের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। সেখানে থাকাবস্থায় সম্প্রতি নিজ এলাকা রাজেন্দ্রপুরে ‘নরওয়ে-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এ কারণে তিনি নরওয়ে-বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেন। কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা করে।

 

 

এ সংক্রান্ত আরো জানতে…………

প্রবাসীর বিরুদ্ধে মাদকের মামলা : গাজীপুরের এসপির ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button