চুল পড়া রোধে পিআরপি
গাজীপুর কণ্ঠ, স্বাস্থ্য ডেস্ক : পিআরপি থেরাপির পুরো অর্থ প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা থেরাপি। এটা মাথার চামড়ায় বিশেষ প্রোটিন সরবরাহের একটি পদ্ধতি। চুল পড়া রোধে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে এই থেরাপি। তবে এটি চুল পড়া রোগের লোকাল এপ্লিকেশন মাত্র যার কারণে এটি চুল পড়া চিকিৎসায় কোনো স্থায়ী রেজাল্ট দেয় না।
কখন কীভাবে পিআরপি থেরাপি নিতে হয়?
সাধারণত ২১ দিন বা ১ মাস পর পর মোট ৮টি পিআরপি থেরাপি নিতে হবে। এর ফলাফল পেতে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে। আর যতটুকু ফলাফল দেবে সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্য আপনাকে ১ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
শুধু পিআরপি থেরাপি নিলেই কি কাজ হয়?
না। এর সঙ্গে আরও কিছু ওষুধ ব্যবহার করতে হবে যা ডাক্তার প্রেসক্রাইব করে দেবেন। খাওয়ার ওষুধ এবং পিআরপি থেরাপি দুয়ে মিলেই একটা ফলাফল দিয়ে থাকে।
পিআরপি থেরাপি কি চুল পড়া রোধের স্থায়ী পদ্ধতি?
না। পিআরপি থেরাপি দিয়ে স্থায়ী ফলাফল পাওয়া যায় না। টানা ৮টা থেরাপি নেওয়ার পর যদি আপনার ক্ষেত্রে কাজ করে তাহলে সেটা ধরে রাখার জন্য কয়েক মাস পর পর এই থেরাপি নিতে হবে এবং এভাবে সারা জীবন চালিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আবার চুল পড়া শুরু করবে এবং মাথা টাক হয়ে যাবে।
পিআরপি থেরাপি কারা নিতে পারেন?
যাদের বংশগতভাবে মাথায় টাক হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে পিআরপি থেরাপি সম্পূর্ণ অকার্যকর। তবে যাদের মাথার ফলিকল নিস্তেজ হয়ে টাক হওয়ার উপক্রম হয়ে গেছে তারা পিআরপি থেরাপি নিয়ে দেখতে পারেন কাজ করে কি না।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নিজের শরীরের রক্ত ব্যবহৃত হয় বলে পিআরপি চিকিৎসায় তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। শারীরিক অসুস্থতা ও হরমোনের অসামঞ্জস্য থাকলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
তবে যেহেতু মাথায় অনেকগুলো ইনজেকশন পুশ করা হবে তাই এর আগেই মাথার ঐ স্থানে লোকাল এনেসথেসিয়া দেওয়া হয় যাতে ঐ স্থানগুলো অবশ হয়ে যায়।
ডা. সাব্বির মুহাম্মদ শাওকাত
চর্ম, যৌন, চুল, অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ও কসমেটিক সার্জন
কনসালটেন্ট: কসমেটিক ও লেজার সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
চেম্বার: স্কিন স্কয়ার
করিম টাওয়ার, ৪৪/৭/এ ও বি (৩য় তলা)
পশ্চিম পান্থপথ, কলাবাগান, ঢাকা-১২০৫