ইসলাম

মুসলমানের জীবনে ভালোবাসার মানদণ্ড যা হওয়া উচিত

গাজীপুর কণ্ঠ, ধর্ম ডেস্ক : কাউকে ভালোবাসা এবং কারো সাথে শত্রুতা রাখার মানদণ্ড হলো একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি। শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসতে হবে এবং শত্রুতাও যদি কারো সাথে রাখতে হয়, তাও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই। একটি উন্নত জীবনের জন্য এটাই শ্রেষ্ঠ কর্মপন্থা।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,

إِنَّ أَحَبَّ الْأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ الْحُبُّ فِي اللَّهِ وَالْبُغْضُ فِي اللَّهِ

“নিশ্চয় আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠ আমল হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালোবাসা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কারো সাথে শত্রুতা রাখা।” – মুসনাদে আহমদ, মুসনাদুল আনসার, হাদিস নং২০৩৪১

ঈমানের পরিচয় দিতে হলে, কাউকে ভালোবাসার আগে আল্লাহর জন্য হৃদয়ের গভীরে সুদৃঢ় ভালোবাসা রাখতে হবে। কিছু মানুষ এর ব্যতিক্রম করে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ

“আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্যকে আল্লাহ্‌র সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে এবং আল্লাহকে ভালোবাসার মত তাদেরকে ভালবাসে; কিন্তু যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌র প্রতি ভালোবাসায় তারা সুদৃঢ়।” –সূরা আল-বাকারা:১৬৫

শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই কাউকে ভালোবাসতে হবে। আমি যদি আমার স্ত্রীকে ভালোবাসি, তাহলে এ ভালোবাসা আমার নিজের মনের চাহিদা হলেও এটা হবে আল্লাহর জন্য। কেননা আমি কোন অবৈধ পন্থা অবলম্বন না করে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী আমার এই চাহিদাকে স্ত্রীর মাঝে সীমাবদ্ধ করে নিয়েছি।

এমনিভাবে যে কোন ভালোবাসার ক্ষেত্রে একই কথা যে, তা যেন আল্লাহর বিধান ও সন্তুষ্টির পরিপন্থী বা আল্লাহর ভালোবাসার সমকক্ষ হয়ে না দাঁড়ায়। নতুবা কোন ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পাবে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,

ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلَاوَةَ الْإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ

“তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকে সে ঈমানের স্বাদ পায়।

১. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছু থেকে প্রিয় হওয়া।
২. শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালোবাসা।
৩. কুফুরীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা।” -বুখারী, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং:১৫

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button