কাপাসিয়ায় ‘ছোঁয়া অ্যাগ্রো’র কর্মী করোনা আক্রান্ত: অ্যাগ্রো লকডাউন
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : কাপাসিয়ার দস্যুনারায়ণপুর এলাকায় অবস্থিত ‘ছোঁয়া অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট লিমিটেডে’র এক কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
শুক্রবার আইইডিসিআর থেকে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পেয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর ওই অ্যাগ্রো এবং আশাপাশের এলাকা লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোসাঃ ইসমত আরা।
ছোঁয়া অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট লিমিটেডেের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু সুলতান বলেন, আক্রান্ত কর্মী আমাদের সেলস সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত। তার বয়স ৩৪। সে নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা। গত এক সপ্তাহ যাবত সে অসুস্থ থাকায় তার বাড়িতে অবস্থান করছে। আমাদের ১৪০-১৫০ জনের মতো কর্মী কারখানার ভেতরে আবাসিক ব্যবস্থাপনায় থেকে কাজ করেন। এছাড়াও আরো ২০-২৫ জন কর্মী আশাপাশের এলাকা থেকে এসে ডিউটি করে।
তিনি আরো বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভিয়েতনাম থেকে দু’জন বিদেশী নাগরীক আমাদের কারখানা পরিদর্শনে এসে তাঁরা ১৪ মার্চ পর্যন্ত ভেতরে অবস্থান করেছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের অ্যাগ্রো লকডাউন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস ছালাম সরকার বলেন, ‘ছোঁয়া অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট লিমিটেডের এক কর্মী গত সপ্তাহ যাবত ঠান্ডা, জ্বর ও সর্দিতে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রচণ্ড মাথাব্যথা নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসলে তার নমুনা সংগ্রহ করে আমরা আইইডিসিআরতে পাঠাই। শুক্রবার দুপুরে রিপোর্ট পেয়ে জানা যায় তিনি করোনা পজেটিভ। ইতোমধ্যে কারখানাটি লকডাউন করা হয়েছে। ওই কারখানার আবাসিক ব্যবস্থাপনায় থাকা প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। করোনা আক্রান্ত কর্মীকে ঢাকার কুর্মিটোলায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও শুক্রবার পর্যন্ত ৩২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ জনের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়েছি। বাকিদের রিপোর্ট এখনো আসেনি।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোসাঃ ইসমত আরা বলেন, করোনা পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরপরই ‘ছোঁয়া অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট লিমিটেডে ও আক্রান্ত কর্মীর বাড়ি এবং আশাপাশের এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়াও ছোঁয়া অ্যাগ্রোর সকল কর্মীর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর পাঠানো হবে।
.