গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নদীরক্ষায় প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি নির্দেশনা জারি করে রায়ের কপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নদীরক্ষায় যুগান্তকারী নির্দেশনা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাসহ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলার রায়ে কারও বিরুদ্ধে নদী দখলের অভিযোগ থাকলে তাকে নির্বাচনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা এবং সরকারি বা বেসরকারি কোনও ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও অযোগ্য ঘোষণার নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিষয়টি যাতে সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নজরে থাকে সেজন্য তার কাছে রায়ের কপি পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সময় হাইকোর্ট বলেছেন, ‘এ রায়ের কপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হোক। যাতে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নদ-নদী সম্পর্কে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে পারেন।’
এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী রানী শর্মা ও পূরবী সাহা।
রায়ে তুরাগ নদীকে জীবন্ত সত্ত্বা ঘোষণা করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে দেশের সব নদ-নদী-খালের আইনগত অভিভাবক ঘোষণা করছেন হাইকোর্ট। দেশের সব নদ-নদী-খাল-জলাশয় ও সমুদ্র সৈকতের সুরক্ষা এবং তার বহুমুখী উন্নয়নে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বাধ্য থাকবে বলেও রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
এ মামলাটি চলমান তদারকিতে থাকবে বলে রায়ে বলেন আদালত।