গাজীপুর

বাসন থানার অদূরেই চলে চায়ের দোকানে আড্ডা, বালাই নেই সামাজিক দূরত্বেরও

বিশেষ প্রতিনিধি : গাজীপুর মহানগরীর শিল্প এলাকা ভোগড়ায় করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না এলাকাবাসী। এছাড়া চায়ের দোকান ও রাস্তায় সকাল-সন্ধ্যা লোকজনের ভিড় লেগেই থাকে।

ভোগড়া মধ্যপাড়া বাজার ও এর উত্তর দিকের রাস্তার দুই পাশে দোকানগুলোর সামনে চায়ের দোকানে বসে চলে মানুষের আড্ডা এবং পথচারীদের ভিড়। ওই এলাকায় দোকানগুলোতেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়মটিও মানছে না স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসন থানা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরত্বে ওই এলাকায় তেমন পুলিশী তৎপরতাও নেই।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকায় দেখা গেছে, ভোগড়া মধ্যপাড়া বাজার, উত্তরপাড়া জঙ্গল মার্কেট, তালতলাসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানগুলোতে বসে স্থানীয় বাসিন্দারা আড্ডা দিচ্ছে। ভোগড়া মধ্যপাড়া বাজার থেকে উত্তরে দিকে যাওয়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সংযোগকারী রাস্তাসহ শাখা রাস্তাগুলোতে দেখা গেছে পথচারীদের দলবেধে চলতে, চায়ের দোকানগুলোর সামনে বসে গল্প-গুজব করছে। তাদের মধ্যে নেই কোন সচেতনতা।

স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বলেন, এখানেতো বাইরের দেশ থেকে কেউ আসেনি। তাই ভয়ের কোন কারণ নেই। আর কতক্ষণই বা ঘরে বসে থাকা যায়।

সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না দেখে ভোগড়া এলাকা থেকে এক বাসিন্দা মঙ্গলবার বিকেলে বাসন থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি সংবাদদাতাকেই সচেতনা বৃদ্ধির দায়িত্বপালনের নির্দেশ দেন।

জিএমপি’র বাসন থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন বলে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।

গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান বলেন, করোনা সংক্রমন রোধে সামাজিক দূরত্ব (তিন ফুটের বেশি) নিশ্চিতকরণ, তথা সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো। এ মুহুর্তে মানুষের কি করণীয় সে ব্যাপারে স্থানীয় জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। তারপরও মানুষ যদি সচেতন না হয় তবে যে কোন সময় করোনা জীবানু সংক্রমন ঘটে যেতে পারে। এটা আমাদের জন্য খুবই দু:খজনক। তিনি সকলকে এ ব্যাপারে সকলকে আরো সচেতন হতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button