মেঘডুবিতে থাকা ৪৪ জনই শঙ্কা মুক্ত: কোয়ারেন্টিনে রাখায় হাসপাতালের তালা ভেঙে বিক্ষোভ
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : মহানগরের পূবাইলের ‘মেঘডুবি ২০শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে’ কোয়ারেন্টিনের জন্য স্থাপিত অস্থায়ী স্বাস্থ্য ক্যাম্পে থাকা ইটালি ফেরত ৪৮ জনের মধ্যে ৪৪ জনই শঙ্কা মুক্ত। বাকি চারজনের দেহে লক্ষণীয় মাত্রায় জ্বর থাকায় আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাদেরকে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য ক্যাম্পে থাকা ইতালি প্রবাসীরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন। প্রবাসীরা তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখায় রোববার বিকালে হাসপাতালের তালা ভেঙে বিক্ষোভ করেছে। মেঘডুবি ২০শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে’র কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে বাইরে এসে বিক্ষোভ করে।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাকী বলেন, দেশে ফেরার পর গত শনিবার রাতে ৪৮ জনকে ’মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য নেওয়া হয়। তাদের কোন অপরাধে মেঘডুবি হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে তা জানতে চেয়ে রোববার বিকালে তারা বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই হাসপাতালের ভেতরের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে হাসপাতাল চত্বরে বের হয়ে আসেন তারা।
জিএমপি’র পূবাইল থানার ওসি মো. নাজমুল হক ভুইয়া জানান, রোববার বিকালে বিক্ষোভ ও ভাংচুরের খবর পেয়ে সেখানে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পর হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
চার জনের জ্বর
গাজীপুরের সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান বলেন, “চারজনের দেহে লক্ষণীয় মাত্রায় জ্বর থাকায় আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাদেরকে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা এখনও ভালো আছে। তাদের আর কোন সমস্যা নেই।
“এখান থাকা ইতালি প্রবাসীরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন। তাদের বিষয়ে তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত চায়। তবে তাদের বেলায় সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে কোন কিছু করার নেই।“
একজন মেডিকেল অফিসার তাদের পর্যবেক্ষণ করছেন। প্রবাসীদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে। মশার উপদ্রব থেকে রক্ষায় মশারি ও কয়েল দেওয়া হয়েছে। প্রতি কক্ষে ৩/৪ ফুট দূরে দূরে ১০ জন থেকে ৬ জন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া এক প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে আলাদা করে এক কক্ষে রাখা হয়েছে। সেখানে ৭০ জন থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে, রোববার আইইডিসিআরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বিদেশ থেকে ফেরা ২ হাজার ৩১৪ জন দেশের বিভিন্ন এলাকায় যার যার বাড়িতে ‘কোয়ারেন্টিনে’ আছেন।
গত সপ্তাহের শুরুতে নভেল করোনাভাইরাস পাওয়া তিনজন চিকিৎসা শেষে সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন। তবে নতুন দুজনের দেহে শনিবার সংক্রমণ পাওয়া যায় বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে।
এ সংক্রান্ত আরো জানতে…..
করোনাভাইরাস: ইটালি ফেরত ৪৪ জন প্রবাসী কোয়ারান্টিনের জন্য মেঘডুবিতে
ইতালি থেকে ফিরলেন আরও ১৫৫ বাংলাদেশি: রাখা হতে পারে পূবাইলে