২০ জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৯৬৩ জন
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের দেহে করোনা ভাইরাস আছে কিনা তা যাচাইয়ের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২০ জেলায় ৯৬৩ জনকে এই ব্যবস্থায় পর্যবেক্ষণে রাখার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের মধ্যে কেউ এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চাঁদপুরে ৬৪৮
বিদেশ থেকে চাঁদপুরে আসা ৬৪৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
তিনি জানান, আমরা বিভিন্ন ইউনিয়নের পুলিশ, চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছি। প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে চাঁদপুরে ফিরেছেন ৬৪৮ জন। এ সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘যারা দেশের বাইরে থেকে আসছেন তাদের বলা হয়েছে প্রত্যেকে কমপক্ষে ১৪ দিন বাড়িতে থাকতে। বিদেশ ফেরতদের বেশিরভাগই এসেছেন সৌদি আরব, দুবাই, লেবানন, ওমান, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন ও ইতালি থেকে। বেশ কয়েকজন এসেছেন লিবিয়া, স্পেন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে। তালিকায় আরও নাম যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহ বলেন, ‘আমাদের পরিসংখ্যানের হিসাবে ৮০ জনের তথ্য পেয়েছি। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কাছে আরও বিপুল সংখ্যক বিদেশ ফেরত লোকজনের তথ্য আছে।’
মানিকগঞ্জে ১৬৯
মানিকগঞ্জে বিদেশ ফেরত ১৬৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মার্চ) নতুন করে ৬০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হলেও তাদের নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পর্যবেক্ষণে থাকা ব্যক্তিরা সম্প্রতি ইতালি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন।
কিশোরগঞ্জে ৬৫
কিশোরগঞ্জে বিদেশ ফেরত ৬৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। এছাড়াও সৌদি আরব, জর্ডান ও সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসা কয়েকজন রয়েছেন। তারা গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন সময়ে দেশে এসেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মুজিবর রহমান।
নারায়ণগঞ্জে ১১
নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাস পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসা এক চীনা নাগরিকসহ মোট ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে তাদের মধ্যে যদি জ্বর, সর্দি, কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পাতলা পায়খানাসহ শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দেয় তবে টেলিফোনে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বা সিভিল সার্জন কিংবা ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসককে (আরএমও) জানাবেন তারা। কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রত্যেককে সিভিল সার্জন, আরএমও এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। যদি এমন কোনও সমস্যা হয়, সিভিল সার্জন অফিসের ডাক্তাররা তাদের কার্যকর ড্রেস পরে ওই রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তা ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠাবেন। পরীক্ষায় যদি কিছু ধরা পড়ে তবে পরের নির্দেশনা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নরসিংদীতে ৯
নরসিংদীতে ৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নাটোরে আট
নাটোরে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ১০ জনের মধ্যে দুই জনকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। তাদের এক মাস পূরণ হওয়ায় ঘর থেকে বের হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন মিজানুর রহমান।
যশোরে সাত
যশোরে শুক্রবার (১৩ মার্চ) পর্যন্ত ৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। জেলার চৌগাছায় ইতালি ফেরত এক দম্পতিসহ মোট ছয় জনকে এবং মনিরামপুরে একজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে তারা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কোয়ারেন্টাইন বলা যাবে না। যেহেতু শুধু আক্রান্তদের সংস্পর্শে এলে তাকেই কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হয়। উনারা যাদের সংস্পর্শে ছিলেন, তারা তো রোগী নন। আমরা একে পর্যবেক্ষণে রাখা বলছি।’
চট্টগ্রামে সাত
ইতালি ফেরত সাত জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, ‘গত ৮ মার্চ তারা দেশে ফেরেন। ওই প্রবাসীরা নিজে থেকেই হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। তাদের মধ্যে কোনও লক্ষণ না থাকলেও বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পরামর্শ দিয়েছি। তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি।’
রাজবাড়ীতে ছয়
রাজবাড়ীতে ছয় ইতালি ফেরত প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় একজন, জেলার বালিয়াকান্দিতে বাবা-ছেলে এবং কালুখালীর তিন জন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
কুড়িগ্রামে ছয়
কুড়িগ্রামে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সতর্কতায় বিদেশ ফেরত ছয় নাগরিককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা সবাই কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বাসিন্দা। চলতি মাসের শুরু থেকে বিভিন্ন সময়ে দুবাই ও সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন তারা। শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা নাগরিকদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে ওমরাহ হজ পালন করে এসেছেন পাঁচ জন। এরা ৪ ও ৫ মার্চ দেশে ফিরেছেন। এদের বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। এছাড়া ৮ মার্চ দুবাই থেকে এক যুবক (৩৫) ফিরেছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন।’
কেরানীগঞ্জে পাঁচ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিদেশ থেকে আসা মোট পাঁচ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ইতালি থেকে আসা এক ব্যক্তিকে স্ত্রীসহ জিনজিরা ২০ শয্যা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আর কুয়েত ফেরত একজন ও ভারত ফেরত দুই জনকে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মীর মোবারক হোসাইন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে তিনি জানান, এদের কারও শরীরেই করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এরপরও তাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
নীলফামারীতে পাঁচ
নীলফামারীতে চীন ফেরত পাঁচ জনকে হোম কোয়ারেন্টইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে জেলার ডোমার সদরের দুই জন ও নীলফামারী পৌর এলাকায় তিন জন রয়েছেন। সিভিল সার্জন রনজিৎ কুমার বর্মন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে বুধবার (১১ মার্চ) জেলায় ৩৫ জন জন হোম কোয়ারেন্টইন থেকে ছাড়া পান। তারা সকলেই শঙ্কামুক্ত বলে জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
ঝালকাঠিতে চার
ঝালকাঠির রাজাপুরে বিদেশ ফেরত চার ব্যক্তিকে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে চার মার্চ দুই জন, চীন প্রবাসী সিঙ্গাপুর থেকে ৭ মার্চ ও নেদারল্যান্ডস থেকে ৬ মার্চ দুই জন দেশে আসেন। তারা সবাই ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে থাকবেন।
বগুড়ায় চার
বগুড়ায় বিদেশ ফেরত চার জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলা সিভিল সার্জন ডা. গাউসুল আজিম চৌধুরী বলেন, ‘বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় একজন গত ১০ মার্চ মালয়েশিয়া থেকে ফিরেন। একই দিন নন্দীগ্রামে আরেকজন সৌদি আরব থেকে ওমরাহ পালন শেষে বাড়ি ফেরেন। তাদের শরীরের অবস্থা ভালো হলেও আগামী দুই সপ্তাহ বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। এর আগে বগুড়া সদরের হাজরাদীঘি গ্রামের গত ৭ মার্চ ইতালি থেকে একজন ও সোনাতলা উপজেলার বিশুরপাড়া গ্রামের ৮ মার্চ একজন কুয়েত থেকে দেশে ফেরেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।’
জামালপুরে তিন
জামালপুরে মালয়েশিয়া, ইরান, ইতালি থেকে দেশে আসা তিন জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মার্চ) জামালপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. গৌতম রায় বলেন, ‘জামালপুরে এখন পর্যন্ত কোনও ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। যেসব নাগরিক বিদেশ থেকে দেশে ফিরে আসছেন তাদের মধ্যে মালয়েশিয়া, ইরান, ইতালি থেকে আসা তিন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের অবস্থা ভালো। করোনা প্রতিরোধে কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন হাসপাতালসহ জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা রয়েছে।’
ময়মনসিংহে দুই
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের দুই দক্ষিণ কোরিয়া ফেরত প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. এবিএম নুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘ওই দুই ব্যক্তি পুরোপুরি সুস্থ আছেন। তারা স্বাস্থ্য বিভাগের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। গত ৯ মার্চ তারা দেশে ফিরেন। গত ১০ মার্চ থেকে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।’
খুলনায় একজন
খুলনায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সম্প্রতি ইতালি থেকে আসা একজনকে বয়রার তার বাড়িতে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাকে আরও চারদিন বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের তদারকির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণে টাস্কফোর্স কমিটি গঠিত হয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, ‘নগরীর বয়রায় ইতালি থেকে একজন আসার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সমন্বিত টিম ওই বাড়িতে যায়। সেখানে তারা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। খুলনায় আসার পর তার ১৪ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। তার করোনার কোনও লক্ষণ নেই। তারপরও অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে তাকে আরও চারদিন বাড়ি থেকে বের না হতে অনুরোধ করা হয়েছে। আর সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে জেলা ও উপজেলায় টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে। এ কমিটির মাধ্যমে বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের ব্যাপারে তথ্য জানা, সচেতনতা সৃষ্টিসহ নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।’
সিলেটে সৌদি আরব ফেরত নারী হাসপাতালে
সিলেটে ৭০ বছর বয়সী এক নারীকে তার বাড়ি থেকে এনে সিলেটের শহীদ ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে সিলেটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মীরা দক্ষিণ সুরমায় ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের অফিসের কর্মীরা ওই নারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে সার্বিক বিষয় বুঝিয়ে বলার পর তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হন। ওই নারী ১২ দিন আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। কয়েকদিন থেকে তিনি জ্বর অনুভব করলে চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। এ সময় চিকিৎসকরা তিনি করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন ধারণা করে তাকে কিছু পরীক্ষা করিয়ে আনতে বলেন। এরপর ওই নারী পরীক্ষা না করিয়ে বাড়িতে চলে যান।’
নোয়াখালীতে ইতালি ফেরত যুবক কোয়ারেন্টাইনে
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নে ইতালি ফেরত এক যুবককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ওই প্রবাসী জ্বর নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে তাকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এই পরামর্শ দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান বলেন, ‘গত ৬ মার্চ ইতালি থেকে বাড়িতে আসে ওই যুবক। ইতালি থেকে সে জ্বরে ভুগছিলেন। তার ব্যাপারে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামীকাল (শুক্রবার) ঢাকা থেকে একটি দল এসে তাকে পরীক্ষা করবে।’
নড়াইলে ইতালি ফেরত হোম কোয়ারেন্টাইনে
ইতালি থেকে নড়াইল শহরের মহিষখোলায় আসা একজনকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) থেকে তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বলা হয়। নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মশিয়ার রহমান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই ব্যক্তি সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন