চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে আউট চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
গাজীপুর কণ্ঠ, খেলাধুলা ডেস্ক : দোর্দন্ড প্রতাপ নিয়েই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এগিয়ে চলেছে লিভারপুল। বেশ কয়েক ম্যাচ হাতে রেখেই লিগ শিরোপা ঘরে তুলতে যাচ্ছে তারা। ১৯৯০ সালের পর প্রথম লিগ ট্রফি ছিনিয়ে নেওয়াটা দ্য রেড শিবিরের জন্য এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের দল ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে দেখল মুদ্রার উল্টো পিঠ। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোল পর্ব থেকেই বিদায় নিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শেষ ষোল পর্বের ফিরতি লেগের নাটকীয়তা শেষে কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। কোচ দিয়েগো সিমিওনের দল শেষ আটের টিকিট কাটল দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের জয়ে।
প্রথম লেগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ঘরের মাঠে ০-১ গোলে হেরে পিছিয়ে ছিল লিভারপুল। কিন্তু তারপরও কোচ ক্লপের দল দেখছিল ঘুরে দাঁড়িয়ে সপ্তমবারের মতো ইউরোপ সেরার তকমা গায়ে জড়ানোর লড়াইয়ে টিকে থাকার স্বপ্ন। কিন্তু নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে হোঁচট খেয়ে বসে তারা। ৪৩তম মিনিটে লিভারপুলের জর্জিনিও উইজনালডাম গোল পেলেও দুই লেগে মিলিয়ে সমতা চলে আসে। ফলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের খেলা মাঠে গড়াতে না গড়াতেই গোল পেয়ে যান রবার্তো ফিরমিনো। ব্রাজিলিয়ান প্লেমেকারের ৯৪তম মিনিটের এই গোলে অ্যাটলেটিকো বাধা উতড়ে যাওয়ার আশায় বুক বাঁধে লিভারপুল। কিন্তু অ্যাটলেটিকো সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি মোটেই। তিন মিনিট বাদেই মার্কোস লোরেন্তের গোলে স্বস্তি চলে আসে অতিথি শিবিরে। অ্যাটলেটিকো মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলটি পেয়ে যায় লিভারপুল গোলরক্ষক আদ্রিয়ানের মারাত্মক ভুল পাসে। এতেই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় স্প্যানিশ জায়ান্টের শেষ আটের টিকিট। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ফুটবলারের কাছেই পাঠিয়ে দেন ইনজুরিতে থাকা অ্যালিসন বেকারের এই ব্যাক-আপ ম্যান।
সমতায় ফিরে আর পিছনে তাকাতে হয়নি সফরকারীদের। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (১০৫+১ মিনিটে) নিজের জোড়া গোলের সন্ধান পেয়ে যান স্পেনের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার লোরেন্তে। দুই লেগ মিলিয়ে অ্যাটলেটিকোর জয়ের জন্য লোরেন্তের দ্বিতীয় গোলটাই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু জয়ের ব্যবধান বাড়িয়ে নেন আলভারো মোরাতা। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে (১২০+১ মিনিটে) স্বাগতিকদের ভাঙা হৃদয়টা আরো ভেঙে দেন চেলসির সাবেক এ স্ট্রাইকার।