ভারতে করোনা আতঙ্ক: রাষ্ট্রপতি ভবনে হোলি উৎসব বাতিল
গাজীপুর কণ্ঠ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সারা বিশ্বের অন্তত ৬০টি দেশে ছড়িয়েছে নোভেল করোনাভাইরাস। মারণ ভাইরাস ছড়াচ্ছে ভারতেও। দেশে কারও মৃত্যু না হলেও এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৮। তবে মঙ্গলবার থেকে জাঁকিয়ে বসেছে আতঙ্ক। আর তার আঁচ পড়ল হোলি উৎসবেও। রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রথাগত হোলি অনুষ্ঠান এ বছর হচ্ছে না। হোলি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরাও। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বড় জমায়েতে অংশগ্রহণ নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই পরামর্শ মেনেই হোলিতে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
চিন থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করে নিয়ে আসা, দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং থেকে শুরু করে সন্দেহভাজনদের আলাদা করে রাখা— যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া সত্ত্বেও দেশে করোনার প্রভাবমুক্ত করা গেল না। দেশে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতি বছর রাষ্ট্রপতি ভবনে হোলি উৎসব পালন করা হয়। সব রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে উৎসব পালন করেন। কিন্তু বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে জানানো হয়, এ বছর সেই অনুষ্ঠান হবে না। কারণ, দেশে করোনার সংক্রমণ। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের টুইট, সতর্কতা ও সাবধানতার মাধ্যমে আমরা করোনা সংক্রমণ রুখতে পারি। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভবনে হোলি উৎসব হবে না।’’
প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো প্রতিরোধ করতে বড় জমায়েত নিষেধ করছেন সারা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা। সেই জন্যই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বছর হোলির মিলন উৎসবে যোগ দেব না।’’
অথচ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীই করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলেছিলেন। টুইটারে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘করোনা প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করুন।’’ কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তার একটি তালিকাও শেয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, তিনিও একই ভাবে হোলির অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না। অমিতের টুইট, ‘‘হোলি ভারতবাসীর কাছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, হোলি মিলন উৎসবে যোগ দেব না।’’