পিরোজপুরের জেলা জজ প্রত্যাহার কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : পিরোজপুরের জেলা জজ আব্দুল মান্নানকে প্রত্যাহারের আদেশ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
বুধবার এ বিষয়ে প্রকাশিত পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনা হলে বিচারপতি তারিক উল হাকিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী ১১ মার্চের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলেছে আদালত।
প্রতিবেদনগুলো আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের এই ধরনের সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী এবং সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এ সংক্রান্ত দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনলে রুল জারি করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের দুর্নীতি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের নেওয়া জামিনের শেষ দিনে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন। পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুল মান্নান জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু এই আদেশের মাত্র চার ঘণ্টা পরই জামিন পান এই দম্পতি।
ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনের আদালতে জামিন বাতিলের আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানানো হলে শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় বিচারক তাদের দুই মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। এর পরপরই বিচারক আব্দুল মান্নানকে প্রত্যাহার করা হয়।
এই ঘটনাটিকে অনেকে স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তবে বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ওই বিচারক অত্যন্ত রূঢ় ও অশালীন আচরণ করেছেন। তাই তাকে প্রত্যাহার (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ কে এম এ আউয়াল এবং তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।