গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : দুর্নীতির বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পেতে জেলা পর্যায়ে গোয়েন্দা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এই গোয়েন্দাদের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়ার আশা করছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
সারাদেশে থাকা দুদকের ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একজন করে গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগ মঙ্গলবার দেওয়া হয়েছে বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই গোয়েন্দাদের উপরও নজর রাখা হবে বলে জানান প্রণব।
“এসব কর্মকতাদের কার্যক্রম নজরদারি করতে দেশের আট বিভাগে দুদকের পরিচালক পদমর্যাদার আরও আট কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে।”
২০১৭ সাল থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলীর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি গোয়েন্দা দল কাজ করে আসছে।
এবার কেন্দ্রের বাইরে জেলা পর্যায়েও গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হল।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, এসব গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘দুর্নীতির কুখ্যাতি’ রয়েছে এমন কর্মকর্তাদের ঘুষ-দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবেন।
এছাড়া সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি, ক্ষমতার অপব্যবহার-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অবৈধ মাধ্যমে যারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করছেন তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে দুদক।
এ বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে দুর্নীতির বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সংগ্রহ করা সহজ হবে।
“এর মাধ্যমে অনুপার্জিত আয় অর্জনকারীদের সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ফলে অনুপার্জিত আয় ভোগ করার পথ আরও কঠিন হবে।”