প্রয়াত সাংসদ রহমত আলীর হাতে রোপন করা দু’টি গাছ কেটে নিল বিতর্কিত এক অধ্যাপক!
বিশেষ প্রতিনিধি : শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে সদ্য প্রয়াত সাংসদ অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর নিজ হাতে রোপন করা মূল্যবান দু’টি গাছ কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে কলেজর বিতর্কিত সহকারী এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে।
কোনোরকম অনুমতি ছাড়াই একটি মেহগনি ও একটি কাঁঠাল গাছ কেটে নেয়া নিয়েছে ওই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও বিষয়টি অবগত নন।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন শ্রমিকদের দিয়ে গাছ দুটি কাটিয়ে নেন।
কেটে নেওয়া মেহগনি গাছটি গাজীপুর-৩ আসনের সাবেক পাঁচবারের সাংসদ সদ্য প্রয়াত সাংসদ অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী নিজ হাতে হিসেবে রোপন করে ছিলেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের জানায়, সোমবার দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ করেই হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে এসে গাছ কাটতে লাগিয়ে দেন। কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক গাছ কাটার বৈধতা জানতে চাইলে তিনি কারও কথায় কর্ণপাত করেননি।
শিক্ষকেরা আরো জানান, গাছ দুটি বাজারমুল্য আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা। ওই শিক্ষক কলেজের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে এর আগেও নানা ধরনের সমালোচনামূলক কাজ করেছেন। কলেজের অভ্যন্তরীণ বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আইয়ুব খানের মার্শাল’ল এর প্রশংসা করে বক্তব্য দিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন। তিনি কলেজ সংক্রান্ত যে কোনো কাজের ক্ষেত্রে তাকে উপজেলার সর্বোচ্চ ব্যক্তি কাগজেপত্রে সমর্থন দিয়েছেন বলে দম্ভ দেখিয়ে থাকেন। এ কারণে কলেজের শিক্ষকেরাও ভয়ে মুখ খোলেন না।
শিক্ষকেরা জানান, মেহগনি গাছটি গাজীপুর-৩ আসনের সাবেক ও পাঁচবারের সাংসদ অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীর স্মৃতি হিসেবে তার নিজ হাতে রোপন করে ছিলেন।
এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নূরুন্নবী আকন্দ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এছাড়া সারাদেশে জাতীয়করণকৃত কলেজের সাথে এ কলেজটিও জাতীয়করণে অন্তর্ভুক্ত হয়। আর সে নিয়েমে কলেজের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের নামে দলিল করে দেয়া হয়েছে। জাতীয়করণের নিয়ম অনুযায়ী কলেজের কোনো সম্পত্তি পরিবর্তন স্টাফ কাউন্সিলের অনুমতি বা মন্ত্রণালয় ছাড়া সিদ্ধান্ত নেয়ার বৈধতা নেই।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামছুল আরেফীন বলেন, তিনিও এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
অভিযুক্ত হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক মো. রুহুল আমীন গাছ কাটার কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, কলেজের প্রয়োজনে গাছ কাটা হয়েছে। বিষয়টি ছড়াছড়ি না করারও অনুরোধ করেন তিনি।