কোচিং না করায় শিক্ষিকার রোষানলে এক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ!
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : শ্রীপুরে কোচিং না করায় শিক্ষিকার রোষানলের পরে এক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা রোববার সুবিচার চেয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফিন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাহফুজা আক্তার।
শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং টেপিরবাড়ি গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে।
শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম জানান, স্কুলে ক্লাস শেষে মাহফুজা ম্যাডামের কাছে রাতের কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। আমি ম্যাডামের কথায় রাজি না হওয়ায় তিনি প্রায়ই শ্রেণিকক্ষে আমাকে উদ্দেশ্যে করে অপমানজনক কথা বলে এবং বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য চাপ দেয়।
সে জানায়, বেতন পরিশোধ না করায় সহপাঠীদের সামনে শ্রেণিকক্ষে ম্যাডাম আমাকে দাঁড় করিয়ে রাখে। মঙ্গলবার ম্যাডাম আমাকে আবারো শ্রেণিকক্ষে মাসিক বেতন পরিশোধ করে পাঠদানে যোগ দেয়ার নির্দেশ দেন। এতেও শ্রেণিকক্ষ থেকে বের না হলে ম্যাডাম আমাকে বেত্রাঘাত করে। পরে আমাকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকে সে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
শিক্ষার্থীর বাবা আবুল কালাম জানান, এসব ঘটনা পরদিন মৌখিকভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবগত করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষিকা মাহফুজা আক্তার শিক্ষার্থীদের দিয়ে সাদিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষকের কাছে সাজানো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগে উল্লেখ করে, ওই ছাত্রী ও তার বাবা নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে সাদিয়া ইসলাম বিদ্যালয়ে পাঠদান করতে পারবে না।
তিনি আরও জানান, আমার মেয়ের শুধু জানুয়ারি মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।
টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলামের বাবার মৌখিক অভিযোগের বিষয়টি তদন্তধীন আছে। তবে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ দিয়েছে। সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উভয় অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা মাহফুজা আক্তার জানান, আমাকে ওই শিক্ষার্থীর বাবা অতিথি শিক্ষক বলায় শ্রেণিকক্ষের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা শুনে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামসুল আরেফিন বলেন, আমি রোববার অফিসিয়াল কাজে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছিলাম। যদি কেউ কোনো অভিযোগ দিয়ে থাকে তা আমি অবগত নই। সোমবার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারব।
সূত্র: যুগান্তর