‘ইতিহাস থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল’: প্রধানমন্ত্রী
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বদলে ফেলা যায় না তা আজ প্রমাণিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই উপমহাদেশে বাংলাদেশ একমাত্র ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র। ১৯৪৮ সাল থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্যই সংগ্রাম শুরু করেছিলেন।
“ভাষা শহীদেরা রক্তের অক্ষরে আমাদের মাতৃভাষার মর্যাদা রেখেছিলেন। তাদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না।”
১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকেই যে সংগ্রামের শুরু সেখান থেকেই আমরা অর্জন করি স্বাধীনতা। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে যান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতাকে হত্যা করে পাকিস্তানের দোসররা তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। জাতির পিতার খুনি মোস্তাক ও তার দোসরদের মদতদাতা জিয়াউর রহমান। সে সঙ্গে না থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না। এর পরই বঙ্গবন্ধুকে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া হলো। কিন্তু ইতিহাস যে মুছে ফেলা যায় না আজ তা প্রমাণিত সত্য।”
ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করার সুযোগ দেওয়ায় এ সময় দেশের নাগরিকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
দেশের মানুষের চিকিৎসা, শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কেউ যেন গৃহহীন না থাকে, সরকার সে উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে। নদীভাঙনে যারা গৃহহীন হয়েছে, সরকার তাদের ঘর করে দেবে।”
প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ এবং আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন একটি জাতি গড়ে তুলতে সরকারকে সহযোগিতা করতে তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।