মায়ের লাশ মর্গে রেখে হাসপাতালের বেডে বসে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তাসমীম
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মায়ের লাশ মর্গে রেখে আহতাবস্থায় হাসপাতালের বেডে বসে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তাসমীম আক্তার (১৭) নামে এক পরীক্ষার্থী ।
পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা খাদে পড়ে তাসমীম আহত হয় এবং তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
চলমান দাখিল পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে কালীগঞ্জ-দোলানবাজার সড়কের পৈলানপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কালীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিক কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় তাসমীম এর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
নিহতের নাম সীমা বেগম ওরফে খুকি (৪০)। তিনি উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের বাশাইর গ্রামের মো. ইব্রাহীম মোল্লার স্ত্রী। তাঁর মেয়ে আহত তাসমীম আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে খলাপাড়া দারুল উলুম মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে মেয়ে তাসমীমকে নিয়ে অটোরিকশা ভাড়া করে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দুবার্টি এম ইউ কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন সীমা বেগম। পৈলানপুরে কালভার্ট থেকে নামার সময় চাকা খুলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটা খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মায়ের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় তাঁর মেয়ে। এলাকাবাসী আহত অবস্থায় তাসমীমকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
আহত তাসমীম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউএনও’র নির্দেশে বিশেষ ব্যবস্থায় হাসপাতালের বেডে বসে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর-ই-জান্নাত।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক(এসআই) বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, মায়ের মৃত্যুর পর হাসপাতালের বেডে বসে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তাসমীম। দুর্ঘটনার পর অটোরিকশা রেখে চালক পালিয়ে গেছেন। অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রথমে আহত শিক্ষার্থীর নাম জানানো হয়েছিল তাহমিনা আক্তার, পরবর্তীতে জানা যায় প্রকৃতপক্ষে ওই শিক্ষার্থর নাম হচ্ছে তাসমীম আক্তার। প্রকশিত নিউজের এই অংশে পরিবর্তন করা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।