গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : আশঙ্কাকে সত্য পরিণত করে চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস চীনের বাইরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, চীনের বাইরে ১৯টি দেশে শতাধিক মানুষের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। চীনে ইতোমধ্যেই দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এই ভাইরাসের কারণে এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। ফলে বিশ্ববাসীর জন্য এখন নতুন আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যেই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
বিষয়টি নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় বেড়েছে মাস্কের ব্যবহার। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, বিশ্বজুড়ে মাস্ক সংকট তৈরি হয়েছে। ফার্মেসিগুলোতে মাস্ক কিনতে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসছেন অনেকে।
গাল্ফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের পাশাপাশি ইতালি, কানাডা, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের অনেক ফার্মেসি সব মাস্ক বিক্রি হয়ে যাওয়ায় ‘স্টক আউট’ নোটিশ ঝুলিয়েছে। আমাজনসহ বিভিন্ন অনলাইন শপিং সাইটগুলোতেও মিলছে না মাস্ক। যাদের কাছে মাস্ক রয়েছে তারা এই সুযোগে বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছেন। কেউ কেউ স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ থেকে পাঁচগুণ দাম বাড়িয়েছেন বলেও জানা গেছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মাস্কের বাজারে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। রাজধানীর একাধিক এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ফুটপাত থেকে শুরু করে ফার্মেসি ও সুপারশপগুলোতে মাস্ক বিক্রি বেড়েছে। অনেক ফার্মেসিতে সুলভ মূল্যে মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে না। দোকানিরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের আবির্ভাবের পর থেকেই মাস্কের চাহিদা বেড়েছে। একইসঙ্গে সরবরাহও কমেছে৷
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক কতটা কার্যকর? বিশেষজ্ঞদের মতে, ফার্মেসিতে প্রচলিত যে সার্জিক্যাল মাস্ক পাওয়া যায়, এ ধরনের মাস্ক খুব একটা কার্যকরী নয়। কারণ বাতাসে ভেসে বেড়ানো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া থেকে ঢিলেঢালা সার্জিক্যাল মাস্ক খুব বেশি সুরক্ষা দিতে পারে না। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে তাই বিশেষজ্ঞরা এন৯৫ মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।