আলোচিত

পতাকা বৈঠকের পরও পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ

গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

বিজিবি তাদের ফিরিয়ে আনতে পতাকা বৈঠক করলেও কোন সাড়া মেলেনি।

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার খরচাকা সীমান্ত থেকে ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে বিএসএফ এর বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিবি রাজশাহীর-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে গতকাল বিকেলেই বিএসএফের সাথে এক দফা পতাকা বৈঠক করে বিজিবি। কিন্তু তাদের কাউকেই ফেরত দেয়া হয়নি।

শনিবার বেলা ১১টায় আরেকটি পতাকা বৈঠক করার কথা থাকলেও সেটাও বাতিল হয়ে যায়।

তিনি বলেন, “বিএসএফ এর যে দায়িত্বপূর্ণ এলাকা থেকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, আমরা তাদের সাথে ইতিমধ্যে একদফা পতাকা বৈঠক করেছি, শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৈঠক হয়েছে। সেখানে তারা আমাদের ফেরত দেয়ার আহ্বানে কোন সাড়া দেয়নি।”

এদিকে বিএসএফ এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মি. মাহমুদকে জানিয়েছেন যে, ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে ইতিমধ্যে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার অভিযোগে মুর্শিদাবাদ থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানা গেছে।

এমন অবস্থায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটককৃত বাংলাদেশিদের ফেরত আনার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ উল্লেখ করে মি. মাহমুদ বলেন, “একবার কাউকে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হলে বা মামলা হলে তাদের ফেরত আনাটা কঠিন। কারণ তখন বিএসএফ এর কিছু করার থাকে না। কিন্তু তারপরও আমরা বৈঠকে তাদের সহনশীলতার সাথে বিষয়টি দেখার জন্য বলবো।”

“জানতে চাইবো যে কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে, আমাদের নাগরিককে তারা আটক করেছে। কোন জায়গা থেকে তাদের ধরা হয়েছে, সেটা আদৌ তাদের সীমান্তের মধ্যে পড়ে কিনা, সেটা বোঝার চেষ্টা করবো।”

বিএসএফ-এর অভিযোগ তারা বাংলাদেশি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় মাছ ধরছিল, এজন্য তাদের আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র বলছে, শুক্রবার সীমান্তের কাছ থেকে রাজন হোসেন, সোহেল, কাবিল, শাহীন এবং শফিকুল নামে ওই পাঁচ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।

ওই পাঁচ জনের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে এবং তাদের প্রত্যেকের বাড়ি পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামে বলে জানা গেছে।

যদি ওই পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রচলিত সীমান্ত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মি. মাহমুদ।

আর ফেরত আনা সম্ভব না হলে সামনের মাসে আরেকটি কমান্ডিং পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এরকম আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button