নোয়াখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১২ মামলার আসামি নিহত
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আনোয়ার হোসেন ওরফে ইউছুফ (৪৪) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, ইউছুফ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য। তার বিরুদ্ধে সাতটি ডাকাতিসহ ১২ মামলা রয়েছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে তিনটার দিকে বীরকোট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ইউছুফ বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব লাউতলী গ্রামের বাসিন্দা। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক লোকেশ মহাজন ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউছুফকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় রাতে তার দল ডাকাতি করার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত পৌনে তিনটর দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলের সহযোগিতায় বীরকোট এলাকায় অভিযান চালায় সেনবাগ থানা পুলিশ।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউছুফের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের মধ্যে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউছুফ পালানোর চেষ্টা করলে সহযোগীর গুলিতে আহত হয় সে। পরে তার পালিয়ে গেলে ইউছুফকে দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ৭ রাউন্ড গুলির খোসা, ৩টি রামদা, ১টি টর্চ লাইট ও ১টি গ্যাসলাইট উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, ইউছুফ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতির ঘটনায় সাতটি, ডাকাতি প্রস্তুতির ঘটনায় তিনটি, সিঁধেল চুরির ঘটনায় ১টি ও অস্ত্র আইনে ১টিসহ মোট ১২টি মামলা রয়েছে।