গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : নতুন করে তফসিল ঘোষণা না করে নির্বাচনের তারিখ পেছানো এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর আগামী রোববার (২৬ জানুয়ারি) শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. নুর উস সাদিক।
এই রিট আবেদনটি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২১ জানুয়ারি ফেরত দেন। এরপর তা বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হলে আদালত শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর করা কপি জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে এই বিধান না থাকাটা বৈষম্যমূলক এবং এটি সংবিধানের ৭, ১৯, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আবেদনে বলা হয়, ঢাকা সিটি নির্বাচনের জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে সেই তফসিল সংশোধন করে ভোটের তারিখ করা হয়েছে পহেলা ফেব্রুয়ারি। কিন্তু বিধি অনুসারে নির্বাচনে ভোটের তারিখ পেছানো নিয়ে তফসিল সংশোধনের সুযোগ নেই। ভোটের তারিখ পেছাতে হলে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। কিন্তু তা করা হয়নি। এছাড়া সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার ২৭ বিধি অনুসারে নির্বাচনের আগেই সিটির ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। বিধি ১১(১) অনুযায়ী প্রতিবছর ২ থেকে ৩১ জানুয়ারি ভোটার তালিকা হালনাগাদের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয় গত ২০ জানুয়ারি। একারণে নতুন ভোটাররা তালিকায় অন্তর্ভুক্তি থেকে বঞ্চিত হবেন।