গ্রামীণফোনে প্রথম বাংলাদেশি সিইও
গাজীপুর কণ্ঠ ডেস্ক : দেশের শীর্ষ টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোনে প্রথমবারের মত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে একজন বাংলাদেশিকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ইয়াসির আজমান এই দায়িত্ব পাচ্ছেন।
গ্রামীণফোনের (জিপি) নতুন প্রধান নির্বাহী হচ্ছেন ইয়াসির আজমান। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ তাকে এক ফেব্রুয়ারি থেকে সিইও হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ইয়াসির আজমান টেলিনর গ্রুপের বিতরণ এবং ই বিজনেস বিভাগের প্রধান হিসেবে বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষ তিনি গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) এবং ডেপুটি সিইও এর দায়িত্ব পান। বর্তমান প্রধান নির্বাহী মাইকেল ফোলির স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
গ্রামীণফোন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পেটার বি ফারবার্গ বলেন, ‘‘ইয়াসির আজমান গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই আজকের অবস্থানে এসেছেন। আমি অনেক আনন্দিত যে আজমান আমাদের বাংলাদেশী অপারেশন এর নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়েছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশী হিসাবে গ্রামীণফোনের সিইও হচ্ছেন। এটি টেলিনর এবং গ্রামীণফোনের সকলের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।’’
বাংলাদেশে গ্রামীণফোনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। বর্তমানে তাদের বৃহৎ শেয়ারের মালিক নরওয়ের টেলিনর। গ্রাহক ও ব্যবসার দিক থেকে জিপি বাংলাদেশের টেলিকম বাজারের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ইয়াসির আজমানের আগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের পদে বসার সুযোগ হয়নি কোন বাংলাদেশির।
নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে ইয়াসির আজমান বলেন, ‘‘গ্রামীণফোনের সিইও হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিতে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী।’’
গ্রামীণফোনের সাড়ে সাত কোটি গ্রাহককে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
ইয়াসির আজমান এমন এক সময় এই দায়িত্ব পাচ্ছেন যখন গ্রামীণফোনকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। গত বছর অপারেটরটিকে সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) বা বাজারের তাৎপর্যপূর্ণ শক্তি ঘোষণা করে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ বিটিআরসি। সেই সঙ্গে অডিটের মাধ্যমে ১২ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা পাওনা দাবি নিয়েও সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি সামাল দেয়াই বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বাংলাদেশি প্রধান নির্বাহীর জন্য।