কেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাঈদ খোকন?
গাজীপুর কণ্ঠ, রাজনৈতিক ডেস্ক : নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে ঢাকা দক্ষিণের মনোনয়ন বঞ্চিত মেয়র সাঈদ খোকনকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাঈদ খোকনের অন্তর্ভুক্তিতে আওয়ামী লীগের মধ্যেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে যে, যাকে মেয়র নির্বাচনে মনোনয়নের জন্য অযগ্য ঘোষণা করা হলো, তাকে আবার কীভাবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়।
আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে যে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কৌশলের জন্যই সাইদ খোকনকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের হিসেব নিকেশ বিবেচনা করে সাইদ খোকনকে কেন্দ্রিয় কমিটিতে আনা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন।
প্রথমত, পুরোনো ঢাকায় সরদার পরিবার একটা বড় ফ্যাক্টর। বিশেষ করে, মাজেদ সরদারের একটা বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে পুরোনো ঢাকায়। মাজেদ সরদারের নাতি হলেন সাঈদ খোকন। পুরোনো ঢাকার যারা অভিভাবক তারা এখন পর্যন্ত ভোটের ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ইতিবাচক সাড়া দেননি। সাইদ খোকনও শেখ ফজলে নূর তাপসকে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সাড়া দেননি। তিনি নিজেও বলেছেন যে, এটা নিয়ে তার পুরোনো ঢাকার মুরব্বীদের সাথে আলাপ করতে হবে। তাছাড়া তিনি এখন নির্বাচিত মেয়র।
একজন নির্বাচিত মেয়র হিসেবে সাইদ খোকন সরাসরি প্রচারনা চালাতে পারবেন না। কিন্তু পুরোনো ঢাকার ভোট ব্যাংকের ওপর সাইদ খোকনের একটা প্রভাব আছে। সাইদ খোকন যেন এই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাজেদ সরদারের পরিবারকে ভোট দিতে এবং তাপসের পক্ষে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করে সেজন্যেই তাকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন সাইদ খোকনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো, কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকায় প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনোভাবেই তিনি শেখ ফজলে নূর তাপসের বিরোধীতা করতে পারবেন না। রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে হলেও তাকে তাপসকে সমর্থন দিতে হবে। যদিও তাপস এই নির্বাচনে সরাসরি সাইদ খোকনের সমর্থন চাননি। তবে নির্বাচনী কৌশল বিবেচনায় খোকনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।