কালিয়াকৈরে ‘নির্দেশ’ অমান্য করে অবৈধভাবে চলছে বন্ধ ইটভাটা!
বিশেষ সংবাদদাতা : কালিয়াকৈরে পরিবেশ দূষণবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে পরিচালিত বড়ইবাড়ী ন্যাশনাল ব্রিকস (বিএনবি) এর দুটি ইটভাটাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত।
গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ।
ফসলি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ওই ইটভাটা গুলোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় এবং আশে পাশে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় জরিমান করে ইটভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন ভ্রাম্যমান আদালত।
কিন্তু নির্দেশের একদিন পরেই পূনরায় দেদারসে চলছে অবৈধ ওই ইটভাটা দুটোর কার্যক্রম। আর এতে ওই এলাকার জনমনে হাজারও প্রশ্ন থাকলেও মিলছেনা কোন উত্তর।
ইটভাটার বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায় জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে বন্ধ হওয়া ইটভাটা পূনরায় কার্যক্রম চালু করেছে মালিকপক্ষ।
কালিয়াকৈর উপজেলায় মোট ৪৩ টি ইট ভাটার রয়েছে যার মধ্যে ১৭ টি অবৈধ। কিন্তু অবৈধ এসব ইট ভাটার বিরুদ্ধে কোন স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। এদিকে কিছুদিন আগে উপজেলার দাড়িয়াপুর এলাকার কুমিদপুর ব্রিকস, রাজু রবিন ব্রিকস, কিরণ ব্রিকস, স্টার ব্রিকস, সান ব্রিকস ও খাজা মইন উদ্দিন ব্রিকস নামে ছয়টি অবৈধ ইটভাটায় দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে প্রত্যেক মালিক কে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ত্রিশ লাখ টাকা জরিমানা করে ইটভাটাগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু তার দুই দিন পর প্রশাসনকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে আবারও চালু করা হয় ওইসব অবৈধ ইটভাটা।
এ বিষয়ে ইটভাটার মালিকরা দম্ব করে বলেন আমরা সুপ্রিমকোর্টের কথা বলেই ইটভাটা চালু করেছি। পরিবেশ অধিদপ্তর এ বিষয়ে জানে।
এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম সরকারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী হাফিজুল আমীন জানান এ বিষয়ে কোন চিঠি পাইনি। পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে জানতে হবে।